শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২২, ০৫:২০ বিকাল
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২২, ০৭:২৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেমিক্যালের দাম চড়া, চামড়ার ব্যবসায় ধস

চামড়া

মিনহাজুল আবেদীন: সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরীতে একাধিক কারখানা ভাড়ায় চলে। এসব কারখানার মালিক প্লট বরাদ্দ পেলেও অন্যদের ভাড়া দিয়েছেন। তারা মূলত ওয়েট ব্লু চামড়া সরবরাহ করেন বায়ারদের কাছে। তবে কেমিক্যালের দাম দুই থেকে চারগুণ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

তাদের মতে, কয়েক বছর ধরে দাম কম রয়েছে কাঁচা চামড়ার। গতবার কোরবানির পর একটু ভালো ছিলো চামড়ার বাজার। এবার চামড়ার দাম আগের মতো থাকলেও কেমিক্যালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকে এ ব্যবসা বন্ধ করে অন্য ব্যবসায় চলে গেছেন। অন্যদের অবস্থাও নাজুক।

ব্যবসায়ীর মতে, আমাদের দেশের চামড়া শিল্প এখন চীনের কাছে জিম্মি। তারা যে দাম দেয় আমাদের সে দাম মেনে নিতে হয়। এর আগে বিভিন্ন দেশের ক্রেতা ছিল মালের দরদাম হতো, এখন এককভাবে ব্যবসা করছে চীন। তাছাড়া কেমিক্যালের ক্ষেত্রেও সিন্ডিকেট রয়েছে। বন্ডের আওতায় মাল আসে তাই যাদের বন্ড আছে তারা চামড়ার মূল ব্যবসা ছেড়ে কেমিক্যালের ব্যবসা করছেন। ইচ্ছামতো কেমিক্যালের দাম নির্ধারণ করছেন।

জরব ট্যানারি বা সাব-কন্টাক্ট নিয়ে কাজ করা তারিক জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা ওয়েট ব্লু করতে চাইলে এখানে ৪৫ ধরনের কেমিক্যালের ব্যবহার হয়। এর মধ্যে কিছু কিছু কেমিক্যালের দাম চারগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে একটা দাম বাড়লে দেশি ব্যবসায়ীরা আরও দাম বাড়িয়ে দেন। এতে আমরা যে চামড়া কিনি তার তিনগুণ কেমিক্যালের পেছনে খরচ করতে হচ্ছে। কেমিক্যালের ব্যবসা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত, এতে সবাই কেমিক্যাল কম দামে পাবে আবার চামড়ার ব্যবসাও ভালো হবে। প্রান্তিক পর্যায়েও দাম বেড়ে যাবে।

মইনুদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের ব্যবসা চায়নার কাছে জিম্মি। লোকাল এজেন্সিরা বেশি কথা বলতে পারে না। আমরা চামড়া ব্যবসা ছাড়তে পারি না, আবার করতেও পারি না। বাকিতে মাল কিনি, সবই পাওনা থাকে। মাল বেঁচে টাকা পেলে কারখানায় অর্ধেক দিয়ে দেই, কেমিক্যাল দোকানে অর্ধেক পরিশোধ করি, এভাবে ব্যবসা করছি। কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগিতা করে না। আশাকরি সামনে দাম বাড়বে, কাজ ভালো হবে, সব দেশের ক্রেতা আসবে আমিও ঋণমুক্ত থাকবো।

জবর কারখানা বা ভাড়ায়চালিত কারখানা বেশি পরিবেশ দূষণ করছে- এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, বিসিকের সক্ষমতার চেয়ে বড় শিল্প ট্যানারি শিল্প। এটা ছোট বা ক্ষুদ্র শিল্প নয়, বিসিকের সক্ষমতা নেই, পরিবেশ তো তারাই দূষণ রোধ করবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় শোধনাগার অচল থাকে। ৭ দিন করে সব কারখানা বন্ধ রাখতে হয়, ময়লা পরিষ্কার হলেও আবার সাতদিন পর কারখানা চালুর অনুমতি দেই। এটা কেন হবে, এমন প্রশ্ন রাখেন জবর বা ভাড়া কারখানায় ব্যবসা করা উদ্যোক্তারা। জাগোনিউজ ২৪ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়