শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২৪, ০৬:৪৬ বিকাল
আপডেট : ২০ মে, ২০২৪, ১১:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, জানতে চেয়েছে ইআরএফ

সালেহ্ বিপ্লব: [২] বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গভর্নর কার স্বার্থ রক্ষা করছেন, প্রশ্ন তুলেছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইআরএফ হুঁশিয়ারি দিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিয়ে ডেপুটি গভর্নর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ‘অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের’ প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

[৩] সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

[৪] লিখিত বক্তব্যে ইআরএফ সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকার অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার কথা বলছে। অথচ ৫৩ বছরের প্রথা ভেঙে হঠাৎ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে; এটা সরকারের অবস্থানের বিপরীত। 

[৪.১] গত ২১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অলিখিতভাবে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ সমস্যার সমাধান চেয়ে ইআরএফের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়েছে এবং দুই দফা চিঠি দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে এই সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও সমস্যার সমাধান না করে এখন বিভিন্ন ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

[৫] ইআরএফ সভাপতি আরও বলেন, একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। সাংবাদিকেরা আগে নিজের কার্ড প্রদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারতেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাময়িক পাস দেওয়া হতো, এখন তা বন্ধ করা হয়েছে। হঠাৎ করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় নানা গুজব ডালপালা মেলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, সে প্রশ্নও উঠছে।’

[৬] সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের আগের মতো অস্থায়ী পাস নিয়ে নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দিতে হবে। যদি নিয়মতান্ত্রিক আলোচনায় প্রবেশাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, তাহলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা আদায় করা হবে।

[৭] ইআরএফ বলেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকেরা প্রবেশ করতে পারে কি না, তা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। আমাদের জানতে হবে, অন্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না। 

[৭.১] যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইট অনেক সমৃদ্ধ। সেখানে অর্থনীতির সব সূচকের নিয়মিত হালনাগাদ ছাড়াও পর্ষদ সভার কার্যবিবরণী, বিভিন্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ সব ধরনের তথ্য প্রকাশ করা হয়; কোনো সাংবাদিক প্রশ্ন করলে দ্রুত তার জবাব দেওয়া হয়। 

[৭.২] আবার এসব দেশের আর্থিক খাতের সুশাসনের মাত্রা অনেক উঁচুতে। পদ্ধতিগত কারণে সেখানে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য আড়াল করা কঠিন। এ ছাড়া বেনামি ঋণ, ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী বা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কেউ কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারে বলে আমাদের জানা নেই। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে কেবল সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মাধ্যমে কি তথ্য আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে, আমরা সে প্রশ্ন রাখতে চাই।

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়