মাসুদ আলম: [২] ঢাকার আশুলিয়ায় একই পরিবারের তিন জনকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। গ্রেপ্তাররা হলেন-কথিত কবিরাজ ও সিরিয়াল কিলার সাগর আলী এবং তার স্ত্রী ইশিতা বেগম। সোমবার গভীর রাতে গাজীপুরের শফিপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নিহত মোক্তার হোসেন ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম পোশাক কারখানার শ্রমিক। তাদের সন্তান মেহেদী হাসান জয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সাগর সাভার বারইপাড়া এলাকার একটা দোকানে চা খাওয়ার সময় মোক্তারকে পাশের একটি কবিরাজি ও ভেষজ দোকানে শারীরিক সমস্যা নিয়ে কথা বলতে দেখেন। মোক্তারের সঙ্গে কৌশলে কথা বলে সাগর জানতে পারেন, সে ওই দোকানে চিকিৎসা বাবদ ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করেও ফল পাননি।
[৪] র্যাব কর্মকর্তা বলেন, মোক্তার তার ও স্ত্রীর কিছু শারীরিক সমস্যার কথা সাগরকে জানান। সাগর জানায়, তার স্ত্রীও ভালো কবিরাজ এবং সে সমস্যার সমাধান করে দেবে। সাগর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ৯০ হাজার টাকার চুক্তি করেন মোক্তারের সঙ্গে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর এক বক্স ঘুমের ওষুধ কেনেন। ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে সাগর ও তার স্ত্রী গাজীপুরের মৌচাক থেকে মোক্তারের সঙ্গে তার বাসায় যান। সাগরের স্ত্রী তাদের সমস্যার কথা শুনেন এবং ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তাদের ভেষজ ও কবিরাজি ওষুধ বলে খাওয়ান।
[৫] তিনি বলেন, পরে সবাই ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়লে সাগর ও তার স্ত্রী মোক্তার ও মোক্তারের স্ত্রীর হাত-পা বাঁধেন। পরে তারা মোক্তারের ঘর তল্লাশি করে মাত্র ৫০০০ টাকা পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসার বটি দিয়ে মোক্তার, মোক্তারের স্ত্রী ও ছেলে কুপিয়ে হত্যা করেন। পালানোর আগে তারা মোক্তারের হাতে থাকা আংটিও খুলে নিয়ে যান।
[৬] সাগর মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন পেশার আড়ালে চুরি ও ছিনতাই করত। ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে ২০০ টাকার জন্য একই পরিবারের চার জনকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই কায়দায় গলা কেটে হত্যায় অভিযুক্ত সাগর। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না