আকরাম হোসেন, কাপাসিয়া (গাজীপুর): [২] কাপাসিয়ায় মেয়েকে ধর্ষনের দায়ে বাবা সোনামিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং শিশুটিকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[৩] এ ঘটনায় শিশুটির মামা আবদুল হাই অভিযুক্ত সোনা মিয়াকে আসামি করে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শিশুটি তরগাঁও ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করে।
[৪] শিশুটি জানায়, টানা ছয় মাস নিজ লম্পট বাবার প্রতিনিয়ত লোভ লালসা ও ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাকে। অন্যথায় কঠিন ও নির্মম মারধরের ও নির্যাতন করতো তার বাবা। মেয়ের সাথে এ রকম জগন্যতম ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার কারণে মা প্রতিবাদ করলে তাকেও বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিত।
[৫] এলাকাবাসী জানায়, মেয়েটি দীর্ঘদিন যাবৎ ধর্ষনের শিকার হয়ে আসছে। শেষ গত বুধবার বিকালেও মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। গত বুধবার বিকেলে শিশুটি কাঁদতে থাকলে তাকে তার বাবা মারধর শুরু করেন। শিশুটি ডাক চিৎকার শুরু করে। শিশুর কান্না শুনে এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধার এবং সোনামিয়াকে আটক করে। ঘটনাটি তরগাঁও গ্রামে ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন সোনামিয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। সোনা মিয়া পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। সে উপজেলার মেডিক্যাল মোড়ে সবজি বিক্রি করে। অভিযুক্ত সোনামিয়ার বাড়ী টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায়।
[৬] বাড়ীওয়ালা মোশারফ হোসেন জানান, তার বাড়ীতে গত দুই বছর ধরে শিশুর পরিবার ভাড়া থাকেন। মেয়েটা পরিবারের বড়। কিছুদিন পর পর সোনা মিয়া তার মেয়ে ও স্ত্রীকে মারধর করে। কি নিয়ে মারধর করে জানতে চাইলে বলে পারিবারিক সমস্যা।
[৭] স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আলতাফ হোসেন সরকার খোকা বলেন, পরিবারের লোকেরা অভিযোগে জানায় ওই শিশুটির বাবা তাকে প্রায়ই এ ধরনের কাজে বাধ্য করতো। তরগাঁও ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মনিরা পারভীন লিপি জানায়, ওই শিক্ষার্থীকে তাঁর বাবা মাঝে মাঝে স্কুল আসতে দেয়নি। উই দিন স্কুলে এসেছিলো। শুনেছি স্কুল ছুটির পর ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
[৮] কাপাসিয়া থানার ওসি এ এইচ এম লুৎফুল কবীর জানান, ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং জবানবন্দ্বি লিপিবদ্ধ করার জন্য গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/একে