ফয়সাল চৌধুরী, কুষ্টিয়া: চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন বাগানে নিয়ে ৩য় শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে মতিয়ার রহমান মতি নামের (৬৫) এক বৃদ্ধার বিরুদ্ধে ।
শনিবার (২৭ মে) সন্ধা সাতটার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মতিয়ার রহমান মতি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে গ্রামের মৃত ওমেদ আলী মন্ডলের ছেলে। এই ঘটনায় ভুক্তভুগি স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে রোববার সকালে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দয়ের করেছে।
পুলিশ ও ভুক্তভুগি স্কুল ছাত্রীর স্বজনরা জানায়, একই এলাকার প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সাথে মতিয়ারের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। যার কারনে স্কুল ছাত্রীর বাড়ীতে নিয়মিত যাওয়া আসা ছিলো মতিয়ারের। শনিবার সন্ধার দিকে বাড়ীর পাশে খেলা করছিলো ৯ বছর বয়সের ওই স্কুল ছাত্রী। এ সময় মতিয়ার সেখানে গিয়ে শিশু কন্যাটিকে চকলেট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশের নির্জন বাগানে নিয়ে যায়। বাগানে নেওয়ার পর ওই স্কুল ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় মতিয়ার। এ সময় শিশু কন্যাটি ভয়ে এবং ব্যাথায় চিৎকার দিতে শুরু করলে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দামকি দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় মতিয়ার। এ দিকে শিশুটির চিৎকারে আসেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
জানতে চাইলে শিশুটির বাবা বলেন, আমি অটোরিক্সা চালিয়ে যা আয় করি তা দিয়ে একমাত্র শিশু কন্যাকে নিয়ে সুখেই ছিলাম। কিন্তু মতিয়ার নামের ওই জানোয়ার আমার চরম সর্বনাশ করে দিয়েছে। মতিয়ার আমাদের প্রতিবেশি দাদা হয়। সে আমাদের বাড়ী আসা যাওয়া করতো। সে আমার মেয়ের সাথে এমন কাজ করবে ভাবতেও পারিনি। এ সময় কান্নাজড়িত কন্ঠে শিশুটির বাবা ধর্ষণকারী মতিয়ারের ফাসির দাবি করেন এবং তার মেয়ের সুস্থ্যতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
রোববার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মেয়েটির পরনের জামাটি মাঝ বরাবর ছেড়া এছাড়া বুকের উপর আচড়ের দাগ রয়েছে, গলা চেপে ধরেছিলো যেন চিৎকার করতে না পারে, হাসপাতালের বেডে মেয়েটি ঘুমের মাঝেও ভয়ে আতঙ্কে চিৎকার করে উঠছে ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জহুরুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত মতিয়ার পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এদিকে দুপুরের দিকে শিশুটির জবানবন্দী নেওয়া জন্য আদালতে নেওয়া হয়। এছাড়াও তার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি ও খেয়াল রাখছে পুলিশ।
প্রতিনিধি/একে