শিরোনাম
◈ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পথে বাংলাদেশ দল ◈ বাংলাদেশে বাড়িতে সন্তান প্রসবের উচ্চহারে জাতিসংঘের উদ্বেগ, পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ ◈ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ ◈ রংপুরে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি ◈ ডিএফপির নতুন ডিজি আকতার হোসেন ◈ শরিকদলগুলোর সাথে ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে আলোচনা চলছে: মির্জা ফখরুল ◈ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল ◈ তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন ফের ৫২ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি ◈ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে হত্যাচেষ্টা, অবস্থা আশঙ্কাজনক

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৩, ১০:৪৭ রাত
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২৩, ১০:৪৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জেঠি শাশুড়ীর সাথে বিরোধ, প্রতিশোধ নিতে শিশুকে হত্যা

হাসিব খান, গাজীপুর: শিশু শাখাওয়াত (০৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনপূর্বক হত্যার মূলহোতা ও পরিকল্পনাকারী তাহারুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

বুধবার (২২ মার্চ) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তাহারুল (৩৫) রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার জামালপুর এলাকার মো. ইয়াসিন আলীর ছেলে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জিএমপির মহানগর ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি এন্ড মিডিয়া) মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান।

তিনি জানান, চলতি মাসের ১৫ তারিখে বাসন থানার ইসলামপুর এলাকায় একটি সদ্য মাটি ভরাটকৃত ফাঁকা জায়গায় মাটি চাপা অবস্থায় পা বের হওয়া একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, মরদেহ ভোগড়া পেয়ারা বাগান এলাকার জাফর আলীর নিখোঁজ শিশু সাখাওয়াত এর। এরপর নিহতের পিতা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাহারুলকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, সে গত ২ বছর আগে নিহত সাখাওয়াত এর চাচাতো বোনকে বিয়ে করে। এরপর সে গত ৮ মাস  আগে ভোগড়া পেয়ারা বাগান এলাকায় বসবাস করে রাজমিস্ত্রী কাজ করে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকে। 

গত ১৩ই মার্চ তাহারুল মিয়া কাজ থেকে বাসায় আসার পর পর্যায়ক্রমে গোসল করতে যাওয়ার সময় তার বউ এর কাছে লুঙ্গি চাওয়া নিয়ে এবং বউকে ভাত বেরে খাওয়ানোর কথা বলায় স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এমন সময় সাখাওয়াত এর মা আসামি তাহারুল-কে বকাঝকা করে পরস্পরের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় তাহারুলের স্ত্রী পাশের ঘরে টিভি দেখতে চলে যায়, তাহারুল রাগান্বিত হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বাসার গেইটের সামনে সাখাওয়াত কে পেয়ে তাকে নিয়ে দোকানে মজা কিনে দিবে বলে নিয়ে যায়। তারপর  সন্ধা ৭টার দিকে ইসলামপুর ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের পশ্চিমে মো. কবির হোসেন এর সদ্য মাটি ভরাটকৃত ফাঁকা নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং সাখাওয়াত এর পরিহিত লুঙ্গি খুলিয়া তার পলায় পেচিয়ে টান দিয়ে দুই হাত দিয়ে সাখাওয়াতের গলায় চেপে ধরে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে সাখাওয়াত এর লাশ যাতে কেউ কোনদিন খুজে না পায় তার জন্য লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মাটি চাপা দিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় আসামি তাহারুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এইচকে/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়