শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:০৭ বিকাল
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:০৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মানবাধিকার সংস্থার আড়ালে ‘এমএলএম’ ব্যবসা  

মানবাধিকার সংস্থার আড়ালে ‘এমএলএম’ ব্যবসা  

মাসুদ আলম : বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা’র আড়ালে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম ব্যবসার মাধ্যমে  কয়েক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে চক্রের মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চক্রের মূলহোতা মো. আব্দুল কাদের, তার সহযোগী মির্জা নাসির উদ্দিন, মাহফুজুর রহমান, এ আর আব্দুল মোমেন, মো. মেহেদী হাসান, মো. আমজাদ হোসেন, মো. মঞ্জুরুল হাসান খান, আব্দুল বারিক, মো. রুহুল আমিন, মোছা. মুন্নি এবং নিলুফা ইসলাম নিপা ।
তাদের কাছ থেকে একজন ভিকটিম, চারটি কম্পিউটার, চারটি ল্যাপটপ, ১৭টি মোবাইল, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই, ভাউচার, চুক্তিনামা,প্যাড, সিল, নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বুধবার কাওরান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, চক্রটি মূলত সমাজের নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তদের টার্গেট করে। পরে মাসিক ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সংস্থাটির দাতা সদস্য বানানোর কথা বলে অনুদান হিসেবে জনপ্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতো।

তিনি আরও বলেন, কাজের নামে দাতা সদস্যদের দিয়ে এমএলএম আদলে নতুন দাতা সদস্য সংগ্রহের কাজ করাতেন আব্দুল কাদের। ভুক্তভোগীদের বলা হতো ৩০ হাজার টাকা দিয়ে দাতা সদস্য হবার পর বেতন ১০ হাজার টাকা হবে। কাজ হিসেবে এলাকায় বাল্যবিবাহ হলে, কোনো দরিদ্র পরিবার অর্থাভাবে মেয়ে বিয়ে দিতে না পারলে এবং নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলা হলে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের জানাতে বলা হতো। এমন সহজ চাকরির আশায় ৩০ হাজার টাকা দিয়ে দাতা সদস্য হবার পর তাদের জানানো হতো নতুন দাতা সদস্য আনতে হবে। নতুন সদস্য আনতে না পারলে বেতন হবে না। অথচ চক্রটি টাকা নেওয়ার আগে লোক সংগ্রহের বিষয়ে কিছুই বলতো না।

অধিনায়ক বলেন, ভুক্তভোগীরা বেতন না পেয়ে রাজধানীর মধ্য বাড্ডার অফিসে গেলে তাদের মামলা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করার ভয় দেখানো হতো। অধিকাংশ সদস্যই সমাজের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।


এমএ/এএ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়