শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:০৬ বিকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৬:৩৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মায়ের সঙ্গে আসামির ফোনালাপে বেরিয়ে এলো হত্যারহস্য

যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ

মাসুদ আলম: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গত ২২ জানুয়ারি ভোরে ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের পাশের সড়কে ছুরিকাঘাতে খুন হন খলু মিয়া (২৮)।  ঘটনার পর বিভিন্ন মামলায় ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে পুরোনো এক ছিনতাই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. আরিফকে (২৮) গ্রেপ্তার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।

আর গ্রেপ্তারের পর আরিফের সঙ্গে তার মায়ের ফোনালাপের সূত্রে বেরিয়ে আসে সেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারসহ তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নিহতের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন।

রোববার সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, খলু মিয়া নারায়নগঞ্জের রূপসী এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঘটনার দিন গাইবান্ধা থেকে সোনালী পরিবহনে করে রাত সাড়ে তিনটায় গোলাপবাগে পৌঁছান। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময়  তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।  ২৬ জানুয়ারি একটি ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী এলাকার নিজ বাসা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের পর আরিফ তার মায়ের সঙ্গে ফোনালাপে জানায়, অন্য কোনো ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, আগের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আরিফের এই বক্তব্যটি সন্দেহজনক হওয়ায় খলু মিয়া হত্যা মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আরিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে খলু মিয়াকে খুনের দায় স্বীকার করেন আরিফ।  একাধিক ছিনতাই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় আরিফ দীর্ঘদিন ধরে তার নিজ বাসায় অবস্থান না করে পলাতক ছিলেন। কিন্তু খুনের ঘটনার পরপর পুলিশি তৎপরতা দেখে হত্যার ঘটনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আগের ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার হতে সে বাসায় অবস্থান করছিল।

এমএ/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়