মনজুর এ আজিজ : ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিমানের প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের দায়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লন্ডন অফিসের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার আকতার উদ্দীন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার এই মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।
দুদকের উপ-পরিচালক আরিফ সাদেক জানান, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে যে মহাব্যবস্থাপক (বিপণন ও বিক্রয়) আখতার উদ্দিন আহমেদ বিমানের লন্ডন স্টেশনে কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে (১৯৯৩-১৯৯৮) বিমানের সিটি অফিসের জন্য অফিস ইকুইপমেন্ট ও টেলিফোন সিস্টেমের জন্য ত্রৈমাসিক ২ হাজার ১২৫ পাউন্ড স্টারলিং ভাড়ার ভিত্তিতে তিনটি কোম্পানির সঙ্গে লিজ চুক্তি ছিল। এই চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু তিনি এবি সার্ভিসেস-এর পক্ষে কেভিন লুইসের মাধ্যমে বিমানের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই বিরাজমান সব চুক্তি অবসান করে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
নতুন চুক্তিতে ত্রৈমাসিক ভাড়া ২ হাজার ১২৫ পাউন্ডের স্থলে ১০ হাজার ৫০৬ পাউন্ড করা হয় এবং ব্যাংক হিসাব খাত থেকে সরাসরি ডেবিট পদ্ধতিতে ভাড়া পরিশোধের শর্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা আগের চুক্তিতে ছিল না। এতে বিমানের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনবহির্ভূত চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে ২০০৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত লিজ রেন্ট বাবদ বিমানকে ১ লাখ ২০ হাজার ৭৪৪ পাউন্ড সমপরিমাণ ৯৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪০ টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে।
পরবর্তীতে আক্তার উদ্দিন আহমেদ বিমানের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন না নিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে কেবিন লুইসের বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং ওই চুক্তির অধীনে ভাড়া পরিশোধ বন্ধ রাখেন। কিন্তু চুক্তিপত্রে আক্তার উদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষর থাকায় সব পক্ষের সম্মতিতে সেন্টার ফর ডিসপুট রেজুলেশনন -এর মাধ্যমে প্রতি ত্রৈমাসিক ৭ হাজার ১৫৬ পাউন্ড ভাড়া পরিশোধ নিষ্পত্তি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :