শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২৪, ০৮:৩৯ রাত
আপডেট : ০৪ মে, ২০২৪, ০৮:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চিনি-লবণ মিশিয়ে নকল স্যালাইন তৈরি, গ্রেপ্তার ৩

সুজন কৈরী: [২] দাবদাহ, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন পানিবাহী রোগের কারণে টেস্টি ও ওরস্যালাইনের চাহিদা বাড়ার সুযোগ নিয়ে ১২ বছর ধরে রাজধানীতে নকল স্যালাইন বিক্রি করছিল একটি চক্র। এসব স্যালাইন বানাতে তারা চিনি ও লবণ ব্যবহার করতো।

[৩] শুক্রবার মতিঝিল থেকে চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)। গ্রেপ্তার হওয়াদের কাছ থেকে দুই হাজার ৮০০ প্যাকেট নকল স্যালাইন উদ্ধার করা হয়েছে।

[৪] শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দাবদাহ ও ডেঙ্গু রোগকে পুঁজি করে এই চক্র রাজধানীতে তৈরি করছিল নকল স্যালাইন। তারা এমএমসি স্যালাইন ব্র্যান্ডকে নকল করে এনএমসি লিখে মোড়ক বানাতো। তবে প্যাকেটের কালার, সাইজ ও বক্স দেখে পরখ করার কোনো উপায় নেই এটি আসল না নকল। চক্রটির তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

[৫] চক্রটির কাছ থেকে সাত কার্টন টেস্টি স্যালাইন উদ্ধার করা ছাড়াও বাকিগুলো তারা কোথায় কোথায় দিয়েছে, কোন ফার্মেসিতে বিক্রি করেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।

[৬] ডিবিপ্রধান বলেন, তারা মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে এসব নকল স্যালাইন বিতরণ করছিল। আবার আসল মানবতার সেবকরাও তাদের কাছ থেকে কিনছে। তারা ঢাকা ও ঢাকার বাইরে খেটে খাওয়া মানুষজনের মাঝে এগুলো বিতরণ করে। মানুষও এগুলো খাচ্ছে। মানুষ সাধারণত ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতায় ভোগে। শরীরে ইলেকট্রলাইট বের হয়ে যায়। তখন স্যালাইন খায়। এই নকল স্যালাইন খাওয়ার পর ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি হয়। কিডনি হার্ট লিভারের সমস্যা বেড়ে যায়। এমনকি ব্রেন ড্যামেজও হয়।

[৭] চক্রটি চিনি-লবণ মিশিয়ে তৈরিকৃত প্যাকেটজাত স্যালাইন মানুষের কাছে বিলি ও বিক্রি করছিল। যেহেতু মানুষের স্যালাইন দরকার তারা তা কিনে গ্রামে পাঠাচ্ছে। আমরা চক্রটির চারজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসকে/এসসি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়