ইফতেখার আলম, রাজশাহীতে: [২] কুখ্যাত সুদ কারবারি আয়েশা আক্তার লিজাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আদেশ দেন। সুদ কারবারি লিজা রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া এলাকার মৃত চান মিয়ার মেয়ে।
[৩] গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আয়েশা আক্তার লিজার বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলা করেন এটিএন বাংলার সহযোগী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এটিএন ই মার্টের রাজশাহী বিভাগীয় সুপার ডিলার প্রভাষ চন্দ্র সরকার (৫৩)।
[৪] মামলায় তিনি জানিয়েছেন, ব্যাবসায়িকভাবে চরম আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ লিজার কাছ থেকে এক লাখ টাকা হাওলাদ করেন। বিনিময়ে তাকে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প এবং একটি ফাঁকা চেক প্রদান করেন প্রভাষ চন্দ্র সরকার। পরবর্তীতে গত ৭ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে উক্ত টাকা সুদে আসলে পরিশোধ করেন। এসময় এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজা উদ্দিন ছোটনসহ অন্যান্য স্বাক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
[৫] টাকা পরিশোধরে সময় প্রভাষ চন্দ্র সরকার তিনি লিজার নিকট ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত চাইলে সে পরবর্তীতে দিবে বলে জানায়। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টার দিকে বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন শিরোইল কাঁচাবাজারস্থ পূবালী মার্কেটের নিচ তলায় প্রভাষ চন্দ্র সরকার তাকে দেখতে পেয়ে তার ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত চাই। এসময় সে আরও এক লাখ টাকা দাবী করে এবং না দিলে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবে বলে জানায় সুদ কারবারি লিজা।
[৬] রাজশাহী নগরীতে চড়া সুদে টাকা খাঁটিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে লিজার মত শতাধিক সুদ কারবারিরা। তাঁদের দৌরাত্ম্যে শহরের এক শ্রেণির মানুষ দিন দিন নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ফুলে ফেঁপে বড় হচ্ছে আরেক শ্রেণির মানুষ। সুদখোরদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
[৭] এঘটনায় বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে জামিন আবেদন করেন আয়েশা আক্তার লিজা। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস