শিরোনাম
◈ যমুনা সেতু থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে রেললাইন, নাট-বল্টু খুলে ফেলার কাজ শুরু ◈ ঘর বদল কর‌ছেন না রোনাল‌দো, সৌ‌দির আল-নাসেরেই থাকছেন ◈ ফুটসাল খেল‌বে বাংলা‌দেশ, প‌ড়ে‌ছে চ্যাম্পিয়ন ইরানের গ্রুপে ◈ সৌদি আরব আনছে ৩৫০০ কোটি টাকার লিগ, হুমকির মুখে আই‌পিএল, বড় পদ‌ক্ষেপ নি‌চ্ছে বি‌সি‌সিআই ◈ ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর শাসনে জরুরি অবস্থা জারির আরেক অজানা কাহিনী ◈ আসিফ-ইশরাকের পরস্পর দোষারোপ, বাড়ছে উত্তাপ! ◈ উত্তরার অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট: কোটি টাকার ভাড়া যাচ্ছে কার পকেটে? ◈ প্রতিষ্ঠানের ভুলে পরীক্ষাবঞ্চিত দুই শিক্ষার্থী: এক বছরের ক্ষতির দায় নেবে কে? ◈ উত্তরায় কিশোর গ্যাং দমনে যুদ্ধের ঘোষণা ডিসি মহিদুলের ◈ হাতিয়ায় গুজবের তোলপাড়: পুকুরে কুমির নয়, ছিল গুইসাপ!

প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০২৩, ০৮:১১ রাত
আপডেট : ০৫ নভেম্বর, ২০২৩, ০৮:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কিশোরগঞ্জে হরতালে রাস্তায় গাছের গুড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ, ট্রাক ভাঙচুর

ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ: [২] কিশোরগঞ্জ জেলায় গতকাল রোববার বিএনপির ডাকা আধাবেলা হরতাল পালিত হয়েছে। ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলায় 
হরতাল পালিত হয়েছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

[৩] বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো: শরীফুল আলমসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের 
প্রতিবাদে এই হরতালের ডাক দেওয়া হয়। 

[৪] হরতালে জেলায় ছোট যানবাহন রিকশা, অটোরিকশা, টেম্পো চলাচল করলেও সংখ্যায় ছিল কম । ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি চোখে পড়েনি। 
অবরোধের কারণে জেলায় দূরপাল্লার কোনো বাস বা ট্রাক যাওয়া আসা করেনি। জেলা শহরের দোকানপাট স্বাভাবিক দিনের চেয়ে কম খোলা ছিল। 
দুপুরে জেলা শহরের বত্রিশ বাস্ট্যান্ড ও গাইটাল আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বাসগুলো অলসভাবে দাঁড়িয়ে আছে। কোনো যাত্রী 
নেই। 

[৫] সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনে বিএনপির কর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা গেলেও বিকেলে তাদের কোন তৎপরতা 
দেখা যায়নি। সকালে জেলা শহরে ছাত্রদলের কর্মীরা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় শহরের বড়বাজার এলাকায় কয়েকটি ট্রাক ভাঙচুর 
করার ঘটনা ঘটেছে।

[৬] এছাড়াও শহরের সতাল এলাকার জেলা পরিষদের সামনে ও সদর উপজেলার নতুন জেলখানা মোড়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে হরতাল 
সমর্থকেরা। এ সময় অবশ্য জেলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান ছিল।

[৭] দুপুর ১২ টায় জেলা শহরের নগুয়া কদমতলা এলাকার যুব উন্নয়ন অফিসের সামনের রাস্তায় কিশোরগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব 
আলম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শহীদুল্লাহ কায়সার শহীদ ও ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী তৌকি'র নেতৃত্বে হরতাল ও 
চলমান অবরোধের সমর্থনে গাছের গুড়ি ফেলে ব্যারিকেড ও টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

[৮] বিকেল পাঁচটায় জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজার মোড়ে কথা হয় অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ আসাদের সঙ্গে। তার বাড়ি সদর উপজেলার বৌলাই 
ইউনিয়নে। আসাদ যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘সকাল দশটায় গাড়ি লয়া বের হইছি। হরতালের কারণে যাত্রী কম, বেশি ভাড়া মারতে 
পারিনি। খাওনপাতির যে দাম! এহন গাড়ি লইয়াও যদি না বের হই-  কি কইরা বাঁচাম। তাই বাধ্য হইয়া বের হইছি।

[৯] শনিবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে ভৈরবের একটি বাসা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পরিচয়ে সাদা পোশাকের লোকজন বিএনপির 
জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো: শরীফুল আলমকে তুলে নিয়ে যায়। শরীফুল আলমের সঙ্গে 
ধরে নিয়ে যাওয়া হয় আরো চারজনকে। শরিফুলসহ অন্য চারজনকে তুলে নেওয়ার কথা সরকারের কোনো সংস্থা গতকাল দুপুর পর্যন্ত স্বীকার করেনি।

[১০] একটি সূত্র জানায়, তাদেরকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে ঢাকার মিন্টু রোডের কার্যালয়ে রেখেছিল।

[১১] গতকাল বিকেল পাঁচটায় ঢাকার সিএমএম কোর্টে শরীফুল আলমসহ তিনজনকে হাজির করা হয়। তাদেরকে উত্তরার একটি মামলায় গ্রেফতার 
দেখানো হয়। আদালত তাদের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম 
তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

[১২] তাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে গতকাল ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপির ভৈরব উপজেলা, 
পৌরসভা ও কুলিয়ারচর উপজেলা। এরপর জেলা বিএনপি আধাবেলা হরতালের ডাক দেয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী দুই দিনের 
অবরোধ কর্মসূচিও চলমান রাখার কথা বলেন দলের নেতারা।

[১৩] হরতাল ঘোষণা দেওয়ার পর ভৈরবের বিএনপির পাঁচ নেতাকে গতকাল রোববার ভোরে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন পৌর 
বিএনপির সভাপতি শাহিন মিয়া, সহসভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ 
সম্পাদক আল মামুন।

[১৪] এই পাঁচ নেতা শনিবার অজ্ঞাত স্থানে বসে হরতাল ঘোষণা করেন। এ ঘোষণা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘোষণার আট 
ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়