শিরোনাম
◈ আবার ‘ব্ল্যাকআউট’ হলো জম্মু-কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশ: সন্ধ্যা হতেই পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ শুরু ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি: শাহবাগে অবস্থান চলবে, শনিবার বিকেলে গণজমায়েত ◈ দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে ফের ‘মার্চ টু ঢাকা’: নাহিদ ইসলাম ◈ আজ রা‌তে পাকিস্তান থে‌কে বিশেষ বিমানে দুবাইয়ে যাবেন ‌ক্রিকেটার নাহিদ, রিশাদ ও বাংলাদেশি দুই সাংবাদিক ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে সিরিজ জিতে দেশে ফিরলো বাংলা‌দে‌শের যুবারা ◈ উত্তরায় মহাসড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি ছাত্র-জনতার, ঘণ্টাব্যাপী যানজট ◈ বিভাজন নয় ঐক্য, প্রতিশোধ নয় ভালোবাসা—গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের ◈ আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে আরব আমিরাত ◈ ভারত আসবে না বাংলাদেশ সফরে, হবে না এশিয়া কাপও ◈ এপ্রিলে  ১০১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বিজিবি

প্রকাশিত : ০৩ জুন, ২০২৩, ০৩:৩৭ দুপুর
আপডেট : ০৩ জুন, ২০২৩, ০৩:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাণীশংকৈলে দুই পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়, মিলছে না প্রতিকার

আনোয়ার হোসেন, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও): রাণীশংকৈল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাপ্তাহিক নেকমরদ ও কাতিহার পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে অর্থদণ্ডের সাজা হলেও, মিলছে না প্রতিকার। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। হাট দুটি প্রতি সপ্তাহের শনিবার কাতিহার ও রবিবার নেকমরদে বসে।

শনিবার কাতিহার ও গত রোববার নেকমরদ হাটে গিয়ে দেখা যায়, তারা যথারীতিতে গরু প্রতি ৪০০ টাকা ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা খাজনা আদায় করছে।

জানা গেছে, নেকমরদ পশুর হাট প্রায় দেড়কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন নেকমরদ এলাকার ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হোসেন অপরদিকে কাতিহার পশুর হাট ১ কোটি ১৩ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন বাচোর এলাকার সানোয়ার হোসেন লিয়ন। তারা হাট দুটি পহেলা বৈশাখের ২ ও ৩ তারিখে বছরের প্রথম খাজনা আদায়ের সুচনা করেন। এ দিন থেকে তারা গরু প্রতি ৪০০ টাকা, ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা হিসাবে খাজনা আদায় করে চলেছেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ নির্ধারিত দর অনুযায়ী গরু প্রতি ২৩০ টাকা, ছাগল প্রতি ৯০ টাকা নেওয়ার বিধান রয়েছে। এসব বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে চলছে। তবে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে গত ১৬ ও ২৩ এপ্রিল নেকমরদ পশুর হাট সংলগ্ন মহাসড়কে মানবন্ধন করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এসব মানববন্ধন ও প্রতিবাদের কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ইন্দ্রজিত সাহা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে পরপর তিনটি হাটে মোট ৫১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে জরিমানা আদায় করেছেন। অপরদিকে কাতিহার হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে ১৩ মে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা। তবে খাজনা আদায়ের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থের সাজা প্রদান করলেও অতিরিক্ত খাজনা আদায় তোলা বন্ধ হচ্ছে না।

স্থানীয় পশু ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম, আদাবর আলীসহ একাধিক ব্যবসায়ী প্রতিবেদককে বলেন, হাটের দিন কমপক্ষে পাঁচশোর মতো গরু ক্রয়-বিক্রয় হয়। ছাগল হয় দেড় থেকে দুইশোর মত। সে হিসাবে গরুতে অতিরিক্ত প্রায় ৮৫ হাজার ও ছাগলে ১২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। আর প্রশাসন অভিযোগ পেলে এসে জরিমানা করে সামান্য টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, লোক দেখানো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। কারণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যদি অপরাধটি বন্ধ না হয় তাহলে সাধারণ মানুষের তো কোন উপকারের আসছে না। বন্ধ হচ্ছে না অতিরিক্ত খাজনা তোলা।

জানতে চাইলে কাতিহার হাট ইজারাদার সানোয়ার হোসেন লিয়ন বলেন, অন্যান্য হাটে বেশি খাজনা আদায় করা হয়। তাই কাতিহার হাটেও খাজনা বেশি নেওয়া হয়। তাছাড়া খাজনা বেশি তোলার বিষয়টি প্রশাসনেও জানে। তারা তো কখনো কিছু বলেনি।

নেকমরদ হাট ইজারাদার তোজ্জাম্মেল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপনার সাথে দেখা করে কথা বলবো। তবে মুঠোফোনে কোন মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাই্ন কবির বলেন, হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও যেহেতু অতিরিক্ত খাজনা তোলা বন্ধ হচ্ছে না। এটা নিয়ে কি করা যায়, তার সঠিক সুরাহা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বলা হয়েছে। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়