শিরোনাম
◈ এবার রেকর্ড সংখ্যক তরুণ প্রথম ভোট দেবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ 'হাসিনার রায়ের দিন কেন বন্দরের চুক্তি স্বাক্ষর হল', প্রশ্ন আব্দুন নূর তুষারের (ভিডিও) ◈ প্রথম খেল‌তে নে‌মেই তা‌মি‌মের সেঞ্চু‌রি, ঢাকা - রাজশাহী ম‌্যাচ ড্র  ◈ রায়ের দিন কলকাতায় আ'লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের মিটিং (ভিডিও) ◈ ৫৩ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল ◈ হাসিনাকে যে কারণে ফেরত দেবে না ভারত ◈ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলছে  ◈ রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি ◈ বড় জয়ে নারী কাবা‌ডি বিশ্বকাপ শুরু ভারতের ◈ আবেদনের ‘পাঁচ মিনিটেই’কুয়েতে মিলছে ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা

প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:২৩ দুপুর
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মৃত্যুর আগে ভিডিওতে ১১ জনকে দায়ী করে গেলেন বিএনপি নেতা জহির, ভিডিও ভাইরাল

বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর স্ক্রিনশট।

ভিডিওতে মৃত্যুর আগে আবুল কালাম জহিরকে বলতে শোনা যায়, তাঁর মৃত্যুর জন্য ১১ জন দায়ী থাকবে। বিশেষ করে তাঁর আপন চাচাতো ভাই খোরশেদ, ছোট কাউসার ও তাঁর তিন ভাই, শাহ আলম ও তাঁর দুই ছেলে, স্বপন, আলমগীর ও সুমনকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘যদি আমার মৃত্যু হয়, তাহলে এদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার আগে ছোট কাউসারসহ ১১ জনকে দায়ী করে নিজের দেওয়া একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার রাত ১০টার পর ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করছেন। তাঁদের দাবি, নিহত বিএনপি নেতা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন, যেকোনো সময় তিনি তাদের হাতে খুন হতে পারেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, ভিডিওটি পুলিশের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত লতিফপুর এলাকার শাহ আলমের ছেলে ইমন হোসেন, মমিন উল্যাহর ছেলে আলমগীর হোসেন, নুরুল আমিনের ছেলে হুসাইন কবির সেলিমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এর আগে একই দিন বিকেলে নিহত আবুল কালাম জহিরের স্ত্রী আইরিন আক্তার বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ওই ১১ জন ছাড়াও আরও দুজনকে আসামি করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যেহেতু আবুল কালাম জহির মৃত্যুর আগেই বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলেন, এখন সব পরিষ্কার। কারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং কেন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, এ বিষয়ে তাঁদের কোনো সন্দেহ নেই। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান গ্রামবাসী ও স্বজনেরা।

এর আগে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের মোস্তফার দোকান এলাকায় আবুল কালাম জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ছিলেন অভিযুক্ত কাউসার। এরপর রাত ৯টার দিকে তিনি ক্রিকেট খেলার একটি ভিডিও পোস্ট করে ফেসবুকে ‘আউট’ লেখেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এটি হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত হিসেবেই দেওয়া হয়েছে।

কাউসার হোসেন জানান, ভিডিওটি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁর দাবি, ঘটনার সময় তিনি লতিফপুর বাজারের মোস্তফার দোকানে ছিলেন এবং কালাম ভাই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে বাজারে ঘোরাফেরা করেছেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর অভিযুক্ত ছাত্রদলের কর্মী ফেসবুকে ‘আউট’ লিখে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। নিহতের পরিবার ওই ছাত্রদল কর্মী কাউসার হোসেনকেই হত্যার জন্য দায়ী করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়