শিরোনাম

প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:২৯ বিকাল
আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুরাদনগরে খাল দখল ও আবর্জনায় জলাবদ্ধতায় ভুগছে দুই গ্রামের মানুষ

এন এ মুরাদ, মুরাদনগর: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের মাত্র ২০০ গজ পূর্বে সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। স্থানীয়দের অসচেতনতা ও খাল দখলের কারণে এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ দূষণ দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রামধনীমুড়া ও নিমাইকান্দি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছেন। খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ময়লা আবর্জনা ফুঁসে দুর্গন্ধ বের হয়।

এখানে জেলা পরিষদের একটি খাল ছিল, যা স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি দখল করে ফেলেছেন। খালের অবশিষ্ট জায়গায় প্রতিদিন বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে খালটি পুরোপুরি ভরাট হয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ১২ মাসই এলাকাজুড়ে ময়লা পানিতে জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, মৃত জলিল মিয়ার ছেলে মোক্তল হোসেন (৫২) ও মৃত রোছমত আলীর ছেলে বুচ্চু মিয়া (৫৫) খালের পূর্বাংশ দখল করে মাটি ভরাট করেছেন। এতে পানি চলাচলে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি হয়েছে।

স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন পথচারী ও উপজেলা পরিষদে আসা সাধারণ মানুষ। ময়লা পানিতে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় ডেঙ্গুর ঝুঁকি আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, “মুরাদনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের দক্ষিণ পাশে জেলা পরিষদের একটি খাল ছিল, যা দিয়ে রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকার পানি নিষ্কাশন হতো। বর্তমানে দখল ও আবর্জনায় পানি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।”

এলাকাবাসীর দাবি, জরুরি ভিত্তিতে খাল পরিষ্কার করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করতে হবে। একই সঙ্গে রামধনীমুড়া থেকে উপজেলা পরিষদ গেট পর্যন্ত অন্তত দুটি ৫০ ফুট দীর্ঘ কালভার্ট নির্মাণ করলে স্থায়ী সমাধান সম্ভব।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, “এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। জনভোগান্তি রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়