মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: দ্বিতীয় বিয়ের কারণে দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে সমাজচ্যুত হয়ে নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছেন ধনঞ্জয় দাস ও শ্রীমতি রানী দাস। সন্তানহীন এ দম্পতি ছিলেন ভোলাচং দাসপাড়ার বাসিন্দা, তবে সমাজপতিদের রায়ে তারা ছিলেন একঘরে। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই দীর্ঘ অন্ধকার থেকে মুক্তি মিলেছে তাদের জীবন।
গত বৃহস্পতিবার দাসপাড়ার সভাপতি সুভাষ দাস ভুক্তভোগী দম্পতিকে সাথে নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুরের কার্যালয়ে যান। তিনি জানান, এসিল্যান্ডের উদ্যোগেই সমস্যার সমাধান হয় এবং সমাজপতিরা ধনঞ্জয়-রানীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাজে ফিরিয়ে নেন।
চোখ ভেজা কন্ঠে ধনঞ্জয় দাস বলেন, 'আমরা এত বছর সমাজের বাইরে থেকেছি। আজ আবার আগের মতো আপনজনদের মাঝে ফিরতে পেরে বুক হালকা লাগছে। আমি সুভাষ দাস ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর বলেন, 'ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে আসার পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সমাজপতিদের সাথে কথা বলি। দ্রুত সমাধান হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।'
প্রসঙ্গত, আগের স্ত্রী চলে যাওয়ার পর ধনঞ্জয় প্রতিবেশী শ্রীমতি রানীকে বিয়ে করলে সমাজপতিরা তাদেরকে একঘরে করেছিলেন। সেই থেকে তিন দশকের বেশি সময় ধরে পরিবার ও সমাজের বাইরে ছিলেন তারা। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শেষ হলো দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ফিরে পেলেন সমাজের স্বীকৃতি ও মানুষের ভালবাসা।