এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের উপকূলবর্তী উপজেলা মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা। এ দুটি উপজেলার মানুষের চলাচলের অন্যতম প্রধান পথ হলো বাগেরহাটের পানগুছি নদী। কিন্তু নদীতে সেতু না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পারাপার হচ্ছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি বারবার ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রলার মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও অবহেলায় নিয়মিত অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা হয়। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী বহনের ফলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। গত ১২ বছরে নদীটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে অর্ধশত দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এতে অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ ৮০ জন যাত্রী বহনকারী একটি ট্রলার ডুবে নারী-শিশুসহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
এ অবস্থায় জনদুর্ভোগ নিরসন ও দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে পানগুছি নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি শহিদুল হক বাবুল বলেন, “মোরেলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, শরণখোলা, মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষ প্রতিদিন এপথে যাতায়াত করে। তাই এ ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্যদিকে, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, পানগুছি নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প ইতিমধ্যেই অনুমোদিত হয়েছে। ২০২১ সালের ৪ মে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায় এবং ২১ জুন প্রশাসনিক আদেশ জারি হয়। পরবর্তীতে এটি ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছরে সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করার জন্য একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি। তারা অবিলম্বে সেতুর কাজ শুরু করার জোর দাবি জানিয়েছেন।