শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা: কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের ঘটনায় হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার। রোববার (২৭ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরাসরি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। দিন-রাত নিয়মিত টহল দিচ্ছনে পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
এর আগে ২২ জুলাই এ নিয়ে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ব্যাখ্যা চেয়ে আগামী ১২ আগস্ট কুমিল্লার এসপি নাজির আহমেদকে ডেকেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে এর আগেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তিনি। গত ২৯ জুন ধর্ষণের শিকার নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিশ্চতিসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মীর একেএম নুরুন্নবী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। নুরুন্নবী বলেন, কুমিল্লার আলোচিত এ ঘটনা নিয়ে আমি হাইকোর্টে রিট করি। আদালত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। অর্থাৎ ১৪ জুলাই মামলাটির অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন হাতে না পাওয়ায় জমা দিতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দেবে বলে জানিয়েছেন।