মোঃ সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পরিষ্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ১৪.০৫ কিলোমিটার খাল পরিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশিচত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার
(ইউএনও) আখিনূর জাহান নীলা। এরআগে সোমবার সকাল থেকে উপজেলায় ০৭টি ইউনিয়নে এই খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করা হয়।
খাল পরিষ্কার কার্যক্রমে নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত, কাদির হানিফ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী,
নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম’সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ
চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সোমবার সকালে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের গবাদিয়া
বুড়াবুড়ি খাল ০৪ কিলোমিটার, ১৯নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের আবুয়াডগী খাল ০১ কিলোমিটার, ০৭নং ধর্মপুর ইউনিয়নের কুমারখালি খাল ০২.০৫
কিলোমিটার, ০৫নং বিনোদপুর ইউনিয়নের দত্তখাল ০৩ কিলোমিটার, ০৪নং কাদিরহানিফ ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর-গোপীনাথপুর খাল ০১.০৫ কিলোমিটার,
২০নং আন্ডারচর ইউনিয়নের ভুলুয়া খাল ০১.০৫ কিলোমিটার, ০১নং চরমটুয়া ইউনিয়নের ওদার খাল ০১ কিলোমিটার পরিষ্কার করা হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে ক্রমান্বয়ে উপজেলার সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ খাল পরিষ্কার করা হবেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, গেল বছরের ভয়াবহ বন্যা ও টানা জলাবদ্ধতায় জেলা সদরের শহর ও গ্রামের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই বন্যার ক্ষত এখনো কাটিয়ে ওঠতে পারেননি এখানকার বাসিন্দারা। তাই এবার বর্ষার শুরুতেই উপজেলা প্রশাসনের এই খাল পরিষ্কার কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আখিনূর জাহান নীলা বলেন, বিগত বছরের বন্যায় নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। মূলত
খালগুলোতে ময়লা-আবর্জনা থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে তাই এই বছর বর্ষার শুরুতেই প্রতিটি ইউনিয়নে খাল পরিষ্কার কার্যক্রম গ্রহণ করা
হয়েছে। নোয়াখালী।
