নিজস্ব প্রতিবেদক : পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ চেয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিআইএ)। এছাড়া ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা ও আধুনিক স্টোরেজসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনটি জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের পোল্ট্রি শিল্প প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ। গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে এ শিল্প। চার দশকের পরিশ্রম, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছে দেশের বর্তমান পোল্ট্রি অবকাঠামো। তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে খাতটি মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। খাদ্য, বাচ্চা, ভ্যাকসিন ও ওষুধের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ডলার বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে খামারিদের উৎপাদন ব্যয়ে। এ অবস্থায় ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা লোকসানের মুখে পড়ে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। যার প্রভাব আগামী দিনে ডিম ও মুরগির সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকট সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিপিআইএ।
পোল্ট্রি খাতকে আরও টেকসই করতে এবং উৎপাদনকারী ও ভোক্তাবান্ধব পরিবেশ গড়তে অ্যাসোসিয়েশনটি জাতীয় বাজেটে ছয়টি প্রধান দাবি উপস্থাপন করেছে তা হচ্ছে- প্রযুক্তি ক্রয়ে সহায়তা ও সহজ শর্তে ঋণ, ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা ও আধুনিক স্টোরেজ, বিদ্যুৎ বিলে ছাড়ের প্রক্রিয়া সহজিকরণ, পোল্ট্রি পণ্য বিজনেস সেন্টার স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পুনরুদ্ধার ও উচ্চ শুল্ক হার হ্রাসের প্রস্তাব।
বিবৃতিতে বিপিআইএ সভাপতি বলেন, পোল্ট্রি শিল্প সরল সমীকরণে চলে না। প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক নানা চ্যালেঞ্জের মুখেও খামারিরা প্রতিনিয়ত দেশের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে প্রোটিন সরবরাহ নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। তাই জাতীয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে বাজেটে পোল্ট্রি শিল্পের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া আবশ্যক।