বৃটেনের সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (যা MI6 নামে বেশি পরিচিত) সংস্থার প্রথম নারী প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেছে ব্লেইস মেট্রেভেলিকে। ১১৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী MI6 -এর গোটা টিমকে নেতৃত্ব দেবেন । ৪৭ বছর বয়সী মেট্রেভেলি এই শরৎকালে স্যার রিচার্ড মুরের স্থলাভিষিক্ত হবেন। কোডনেম 'C' নামে পরিচিত , MI6 প্রধানকে সরাসরি পররাষ্ট্র সচিবের কাছে রিপোর্ট করার এক্তিয়ার দেয়া আছে। দেশের সম্পূর্ণ অপারেশনাল দায়িত্ব তাঁর ওপর ন্যস্ত থাকে। মেট্রেভেলি বর্তমানে MI6-তে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের তত্ত্বাবধানে 'Q'-এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পূর্বে MI5-তে একটি উচ্চপদস্থ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
ব্লেইস মেট্রেভেলি কে?
ব্লেইস মেট্রেভেলি কেমব্রিজের পেমব্রোক কলেজে নৃবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
তিনি ১৯৯৯ সালে সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসে কেস অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
মেট্রেভেলি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপ জুড়ে অপারেশনাল ভূমিকায় কাটিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে, তিনি MI6-এ বিস্তৃত ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা MI5-তে পরিচালক পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।
মেট্রেভেলি পরবর্তীতে MI6-এর প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মহাপরিচালক হন। ২০২৪ সালে, বৃটিশ পররাষ্ট্র নীতিতে তার অবদানের জন্য তাকে রাজার জন্মদিনের সম্মানে কম্প্যানিয়ন অফ দ্য অর্ডার অফ সেন্ট মাইকেল অ্যান্ড সেন্ট জর্জ (CMG) নিযুক্ত করা হয়
MI6 প্রধান নিযুক্ত হওয়ার পর, ব্লেইস মেট্রেভেলি বলেছেন , "এই পরিষেবার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমাকে বেছে নেওয়ায় আমি গর্বিত এবং সম্মানিত। বৃটিশ জনগণকে নিরাপদ রাখতে এবং বিদেশে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ প্রচারে MI5 এবং GCHQ-এর পাশাপাশি MI6 গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। MI6-এর সাহসী অফিসার , এজেন্ট এবং আমাদের অনেক আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে এই কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।"
MI6 কি?
MI6, বা সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস, হল যুক্তরাজ্যের বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা।এটি জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং বৈদেশিক নীতি সমর্থন করার জন্য বিদেশী গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত MI6 বিশ্বজুড়ে গোপনে কাজ করে এবং বৃটেনের পররাষ্ট্র সচিবকে সরাসরি রিপোর্ট করে। সংস্থাটি সন্ত্রাসবাদ, সাইবার আক্রমণ এবং শত্রু রাষ্ট্রের মতো হুমকির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। MI5 দেশীয় গোয়েন্দা তথ্য পরিচালনা করে, অন্যদিকে MI6 একচেটিয়াভাবে বিদেশে কাজ করে। সূত্র : এনডিটিভি