শপথ না নিয়েই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা - কর্মচারীদের বিভিন্ন সভায় অংশ নিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মতো 'ক্রিমিনাল অফেন্স' বা ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ মন্তব্য করেন উপদেষ্টা আসিফ।
এই বিএনপি নেতা নগর ভবনের মিলনায়তন ও অফিস দখল করে নাগরিক সেবাদানে বাধা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা মি. মাহমুদের মতে, প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই ইশরাক হোসেনের। বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে নাগরিক সেবা দান করা শতভাগ বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।
উপদেষ্টা মি. মাহমুদ বলেন, "উনি অফিসিয়ালি কোনো দায়িত্ব নেননি। উনি উনার নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে গিয়ে নগর ভবনের মিলনায়তন, অফিস দখল করেছেন।"
তবে "নাগরিক সেবা বিঘ্নিত করা আরও বাড়লে অবশ্যই আমাদেরকে বাধ্য হয়ে কোনো কঠোর ব্যবস্থায় যেতে হতে পারে" বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মি. মাহমুদ।
ইশরাক হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বর্তমান সরকার এবং তার উপদেষ্টা আদালতের আদেশকে "অপব্যাখ্যা বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে"।
"অবশ্যই আমি তো চাচ্ছি যে তারা আইনি পদক্ষেপ নিক। আমি যদি কোনো আইন ভঙ্গ করে থাকি তাহলে তারা ক্রিমিনাল প্রসেস চালু করুক," বলেন তিনি।
এদিকে, দুই দিন ধরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যালয় নগর ভবনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা - কর্মচারীদের বিভিন্ন সভায় অংশ নিচ্ছেন ইশরাক হোসেন।
সিটি করপোরেশনের যেসব সভায় তিনি অংশ নিচ্ছেন সেগুলোর ব্যানারে তাকে 'মাননীয় মেয়র' হিসেবে সম্বোধন করা হচ্ছে। এসব সভা আবার সিটি করপোরেশনের কার্যালয় নগর ভবনের ভেতরে অবস্থিত মিলনায়তনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কিন্তু আইনানুযায়ী শপথ না নিয়ে এই বিএনপি নেতা মেয়রের এমন সব দায়িত্ব পালন করতে পারেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন যেভাবে শপথ ছাড়াই নগর ভবনে মেয়রের ভূমিকায় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন আইনগতভাবে তা তিনি পারেন না।
সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেন, "এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে।" স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ইশরাক হোসেনের মধ্যে আইনগতভাবে সমঝোতা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই সচিব।
নগর ভবনের সামনে মঙ্গলবারের চিত্র
গতকালের মতো আজ মঙ্গলবারও সকাল থেকেই ইশরাক হোসেনের সমর্থক বিএনপির নেতাকর্মীরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন এবং স্লোগান দেন।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগর ভবন মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মি. হোসেন। প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ওই সভায় সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের সচিবদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
অন্তত ৭০ জন ওয়ার্ড সচিব আজকের সভায় অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সভার ব্যানারে উল্লেখ করা হয়েছে–– "ওয়ার্ড পর্যায়ে নাগরিক সেবা নিশ্চিতকল্পে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ওয়ার্ড সচিবদের মতবিনিময় সভা"।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মি. হোসেনের নামের পরে লেখা হয়েছে 'মাননীয় মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন'।
এই সভায় ওয়ার্ড সচিবদের ক্রেস্ট দিয়েছেন ইশরাক হোসেন। একইসাথে জনসেবা ত্বরান্বিত করার বিষয়েও তাদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে নগর ভবনের সামনে সমাবেশে তার নেতাকর্মীরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে 'স্বৈরাচার' অভিহিত করে স্লোগান দেন। "হাসিনা গেছে যে পথে, আসিফ যাবে সে পথে" এমন স্লোগানও দেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেন।
ওয়ার্ড সচিবদের সাথে সভার পরে ওই সমাবেশে অংশ নিয়ে মি. হোসেন প্রশ্ন তোলেন–– কেন শপথ পড়াতে কালবিলম্ব করা হচ্ছে এবং কার প্ররোচনায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
"স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার পছন্দের একজন ব্যক্তিকে প্রশাসক নিয়োগ করেছেন" বলেও অভিযোগ করেছেন মি. হোসেন।
'ওয়ার্ড সচিবদের প্রাণের ভয় দেখানো হচ্ছে'
সিটি করপোরেশনের বেশিরভাগ কাজই মূলত জনসেবাকেন্দ্রিক। গত এক মাস ধরে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও তার নেতাকর্মীদের নগর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখার ফলে সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত একমাসে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "নাগরিক সেবা বিঘ্নিত করে এই আন্দোলন চলমান থাকলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাজে একটা 'ডেডলক সিচুয়েশন' তৈরি হবে বলে আমি আশঙ্কা করছি।"
ইশরাক হোসেন অফিসিয়ালি কোনো দায়িত্ব নেননি উল্লেখ করে এই উপদেষ্টা বলেন, "প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই। কারণ সাইনিং অথরিটি ছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রম আসলে কীভাবে পরিচালনা করা যায় সেটা আমি জানি না।"
মি. মাহমুদের দাবি, আজ মঙ্গলবার কিছু কিছু ওয়ার্ড সচিবদের বৈঠকে যাওয়ার জন্য ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে বলে তারা অভিযোগ পেয়েছেন।
"কিছু কিছু ওয়ার্ডের সচিবরা আমাদের জানাচ্ছেন মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় বিএনপির নেতারা তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। অনেক সচিবকে প্রাণ ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দিয়ে সেখানে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে," বলেন মি. মাহমুদ।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হওয়ার পরেও কেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে কেন শপথ পড়ানো হয়নি এমন প্রশ্নে শপথ গ্রহণের বিষয়টি বিচারাধীন ছিল বলে উল্লেখ করেন মি. মাহমুদ।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছিল। ওই রিট খারিজ হলে সেটি আপিল বিভাগ পর্যন্ত গড়ায়। পরে আপিল বিভাগে তা নিষ্পত্তি হয় ২৯ শে এপ্রিল।
কিন্তু ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন যে গেজেট দিয়েছিলো সেটির মেয়াদ শেষ হয় ২৭শে এপ্রিল।
"সাবজুডিস (বিচারাধীন) থাকাবস্থায় শপথ দেয়ার সুযোগ আমাদের ছিল না। একইসাথে পহেলা জুন করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে শপথ দেয়ার কোনো সুযোগ আমাদের নেই," বলেন উপদেষ্টা মি. মাহমুদ।
এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইন ভঙ্গ করলে ইশরাক হোসেন আদালতের স্মরণাপন্ন হতে পারেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
'সরকারি কাজে বাধাদান ক্রিমিনাল অফেন্স'
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন নগর ভবন দখল করে প্রশাসনিক কাজে বাধাদানের মাধ্যমে 'ক্রিমিনাল অফেন্স' করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। এমনকি তারা মারমুখী আচরণ করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মি. হোসেন বলেন, "তারা যেটা করছে এটা দেশের আইনের প্রতি অবমাননা জানানো। একইসাথে ক্রিমিনাল অফেন্স সরকারি কাজে বাধা এবং নাগরিক সেবায় বাধা সৃষ্টি করা।"
এক্ষেত্রে এমন 'ক্রিমিনাল অফেন্সের' বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আইনি কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না এমন প্রশ্নে এই উপদেষ্টা জানান, বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা মি. মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, "যেহেতু বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখার সরকারের সদিচ্ছা আছে, সরকার সেখানে সদিচ্ছাটা দেখাচ্ছে এবং ধৈর্য্য ধরছে। তাই নাগরিক সেবা যে বিঘ্নিত হচ্ছে এটা আরও বাড়লে বাধ্য হয়েই আমাদের কোনো কঠোর অবস্থায় যেতে হতে পারে।"
'মেয়র ইজ অনলি এ সিম্বলিক ইস্যু'
সিটি কর্পোরেশনের "অফিসিয়াল কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিনি" বলে দাবি করেন ইশরাক হোসেন।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, "যৌক্তিক দাবির জন্য যে আন্দোলন হচ্ছে এখানে মেয়র ইজ অনলি এ সিম্বলিক ইস্যু। এখানে আমাদের কোনোদিনও ইনটেনশন এরকম ছিল না যে আমরা এখানে দীর্ঘদিন অফিস করব। এখানে আইনের শাসন যাতে প্রতিষ্ঠা পায়।"
"এটা অফিসিয়াল সভা ছিল না, এটা অফিসিয়াল হতে পারে না। কারণ অফিসিয়াল সভা হবে তখনই যখন শপথ অনুষ্ঠান হবে। সেটা স্থানীয় সরকার আইনেই বলা হয়েছে," তিনি বলেন।
ব্যানারে 'মাননীয় মেয়র' লেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সেখানকার কর্মকর্তারাও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তারা ব্যানারে কী লিখেছেন সেটাকে আমি খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাচ্ছি না।"
"সিটি কর্পোরেশনের যে সভাগুলো আমরা করছি অবশ্যই এগুলো কোনো অফিসিয়াল সভা না, এটা আমরাও জানি। শপথ গ্রহণ করাটা ইটস পার্ট অফ দ্য এন্টায়ার প্রসেস। আমরা সেই প্রচেষ্টাই কমপ্লিট করতে চাচ্ছিলাম। আমার এটাকে মেনে নিলেই কিন্তু একটা দালিলিক প্রমাণ থেকে যাচ্ছে ভবিষ্যতের জন্য। যেটা কোর্টে স্টাবলিশড হয়ে থাকবে বিগত দিনে নির্বাচনগুলো কীভাবে অবৈধভাবে চুরি জালিয়াতি করে রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়েছিল।"
বর্তমান সরকার এবং তার উপদেষ্টা "এখানে সর্বোচ্চ আদালতকে ক্রমাগত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে" দাবি করে মি. ইশরাক বলেন, তারা "আদালতের আদেশকে অপব্যাখ্যা বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে"।
"অবশ্যই আমি তো চাচ্ছি যে তারা আইনি পদক্ষেপ নিক। আমি যদি কোনো আইন ভঙ্গ করে থাকি তাহলে তারা ক্রিমিনাল প্রসেস চালু করুক। তাদের কাজ শুধুমাত্র শপথ অনুষ্ঠানটা তারা পড়াবে, এর বাইরে তাদের কোনো কাজ নেই এখানে। দীর্ঘদিন ধরে তারা আইন-আদালতের অবমাননা করছে, অবজ্ঞা করছে। যার কারণে আমরা আন্দোলন চালাচ্ছি।"
আসিফ মাহমুদ "বহু আগেই উপদেষ্টা থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন" বলেও ইশরাক হোসেন দাবি করেন।
'শপথ ছাড়া দায়িত্ব পালন করতে পারেন না'
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র হিসেবে গত ২৭শে এপ্রিল ইশরাক হোসেনের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরই গত এক মাস তাকে শপথ পড়ানোর দাবিতে নগর ভবন অবরুদ্ধ করে চলছে আন্দোলন।
এই আন্দোলন থেকে পদত্যাগও দাবি করা হয় কয়েকজন উপদেষ্টার। এক পর্যায়ে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে বিএনপির দৃশ্যত দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
নাগরিক সেবা চরমভাবে বিঘ্ন হওয়ার পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের ফলে দুর্ভোগের শিকার হয় সাধারণ মানুষও।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে অচলাবস্থা তৈরি হবে।
কারণ তাহলে এর আগে যেসব মেয়র বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বাতিল করা হয়েছে তারাও আন্দোলন করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব আবু আলম শহীদ খান।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "আদালতের রায়, নির্বাচন কমিশনের গেজেট নোটিফিকেশন এবং শপথ না পড়ানো এরকম একটা জটিলতা রয়েছে। ইশরাক সাহেব এখন যেভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে সিটি করপোরেশন পরিচালনা করছেন, এরকম যদি অনেকেই করতে থাকেন তবে একটা অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে।"
আইনগতভাবে শপথ গ্রহণ ছাড়া বিএনপি নেতা ইশরাক মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না বলে জানান তিনি। "এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ইশরাক হোসেনের মধ্যে আইনানুগ সমঝোতা হতে হবে। উনি কাজ করতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে জটিলতা সৃষ্টি হবে," বলে মনে করেন মি. খান।