মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) থেকে : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সংযোগ সড়ক ও রাস্তা না থাকায় কাজে আসছে না প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজ। ফলে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় ৫ গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের। এমন ব্রীজের দেখা মিলেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর আদ্রা গ্রামের ফসলের মাঠে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই ব্রীজটি। ব্রীজ নির্মান করা হলেও এখন পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্মিত হয়নি সড়ক। ফলে কোন কাজেই আসছে না সাতপোয়া ইউনিয়নের চররৌহা, চর রৌহা, আকন্দপাড়া, মাজারিয়া ও খামার মাগুরা সহ পার্শ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার আরোও ২টি গ্রামের জনসাধারন সহ হাজারো মানুষের।
সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিদিন এসব এলাকার ফসলের মাঠের আইল দিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। ব্রীজটি নির্মাণের দীর্ঘদিন পার হলেও এটি এখনো জনগণের চলাচলের জন্য ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠেনি। ব্রিজের দুই পাশে কাঁদা ও অসমতল জমির কারণে শিশু, বৃদ্ধ এমনকি সাধারণ পথচারীদেরও চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ ছাড়াও কৃষকদের আবাদী ফসল আনা-নেওয়া বা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতেও হয়েছে চরম দুর্ভোগ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হাসানুর কবীর স্বপন, মাসুদ রানা, চান মিয়া, ছমিরন বেওয়া বলেন, ব্রীজটি নির্মাণের খবরে আমরা এলাকাবাসীরা খুবই খুশি হয়েছিলাম। ভেবে ছিলাম আমাদের কয়েক গ্রামের দীর্ঘদিনের চলাচলের দূর্ভোগ লাঘব হবে। কিন্তু ব্রীজটি নির্মানের এতোদিন পার হলেও সড়ক না থাকায় এটি আমাদের কোন কাজে আসছে না। আমরা দাবী জানাই অতি দ্রুত আমাদের চলাচলের সুবিধার্থে ব্রীজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী শওকত জামিল বলেন, ব্রীজের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই ব্রীজটি ও সড়কের কথা জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলবো। ওই এলাকার মানুষদের চলাচলের দূর্ভোগ লাঘবে মাটি কেটে রাস্তা উচু করে ব্রীজের সাথে সংযোগ রাস্তা নির্মান করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।