প্রেরক তপু সরকার হারুন : ১১ জুন শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর গ্রামের একদল উশৃংখল ছেলে এবং স্থানীয় কিছু লোক দলবদ্ধ হয়ে অত্র ইউনিয়নের পূর্ব্হাতী আগলা গ্রামে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
হাতি আগলার স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন বুধবার সকাল থেকেই দুই এলাকার অবস্থা থমথমে ছিলো। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিলো সক্রিয় ছিলো বলে জানালেও এই হামলা ঠেকানো যায়নি।
জানাগেছে, লছমনপুর ইউনিয়নের জামতলা গ্রামে অবস্থিত নব জাগরন ক্লাবের সভাপতি আশরাফুল, শাহিন, বিপ্লব, রুবেল, সাইফুল, মনির, সোহাগ এদের নেতৃত্বে প্রায় ৪/৫শত লোক হাতে রাম’দা, লাঠি, বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হাতে অতর্কিত হামলা, লুটপাট ,অগ্নিসংযোগ করে।
এলাকাবাসী বলেন দীর্ঘদিন থেকেই লছমনপুর ইউনিয়নের জামতলা গ্রাম এবং পূর্ব্ হাতি আগলা গ্রামের দ্বন্দ চলে আসছে। তবে ৫ আগষ্টের পর এ অবস্থার ব্যাপক অবনতী হয়। জানা গেছে মুর্শিদপুর খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবার শরীফের সমর্থক হলো হাতি আগলা গ্রামের লোকজন। আর জামতলা এলাকার লোকজন কোনভাবেই মুর্শিদপুর খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের কোন সমর্থক বা গোষ্ঠি কে দেখতে পারে না।
বুধবার সকাল অনুমান ১১টার সময় হাতি আগলা গ্রামের (৭০) উর্দ্দ বয়সের একজন লোক জামতলা বাজারে
গেলে , তাকে নব জাগরন ক্লাবের কয়েকজন মারধর করে । সে লোক বাজার থেকে এসে এলাকাবাসী কে জানালে তাৎক্ষনিক দুই এলাকায় উত্তেজিত হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়।
হাতিআগলা বাসী অভিযোগ পুলিশ সেনা বাহিনীর উপস্থিতে জাগরন ক্লাবের সভাপতি আশরাফুল, শাহিন, বিপ্লব, রুবেল, সাইফুল, মনির, সোহাগ এদের নেতৃত্বে প্রায় ৪/৫শত লোক হাতে রাম’দা, লাঠি, বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে অতর্কিত হামলা, লুটপাট ,অগ্নিসংযোগ করে চলে গেলো। আমরা কোথায় যাবো।
বুধবার সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত একটি গ্রামে দেশীয় অস্র হাতে নিয়ে অতর্কিত হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে গরু, ছাগল , ঘর ভাংচুর করে স্বর্ণ্ অলংকার, ঘরের মালামাল,বাড়ীর টিবওয়েল, থেকে শুরু
করে সব কিছু নিয়ে যায় বিক্ষুব্ধরা এবং আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। সেনাবাহিনী, পুলিশ
নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিলেও জনস্রোতে তারা টিকতে পারেনি।
এলাকার ইব্রিাহিম (৫০) নামে একজন বলেন- আঃ মজিদ নামে একজন ভ্যানচালক কাচামাল ভ্যানে তুলে ঘুরে ঘুরে বিক্রয় করেন-তার বাড়ী ভাংচুর-লুটপাট তিনটি গরু, ৪টি ছাগল , বাড়ীতে টিউবওয়েল, ধান, চাউল নিয়ে পুরো বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে চলে যায় । এদিকে ঈদের ছুটিতে আসা সিঙ্গাপুর প্রবাসী জিয়াউল হকের আধাপাকা ঘরের দরজা, থাই জানালা ভেঙ্গে ঘরে ১০ ভরি স্বর্ণ্ ও ঘরে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম এর সাথে কথা হলে তিনি যায়যায় দিন
বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
