শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০২৫, ০৭:৩৪ বিকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের নিষোধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দরে  আটকে গার্মেন্টস শিল্পের শতাধিক ট্রাক

আইরিন হক, বেনাপোল (যশোর) :  ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল স্থলবন্দরে আটকে পড়েছে  রফতানি মুখী  গার্মেন্টসসহ কয়েক প্রকার পণ্যের শতাধিক ট্রাক। এর আগে তাদের নিষেধাজ্ঞায় সড়ক পথে  বন্ধ হয় ভারতের বিমান বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোন দেশে গার্মেন্টস রফতানি।  তবে স্থল পথে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কলকাতা ও নব সেবা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানির সুযোগ রাখা হয়েছে।এদিকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পণ্য পরিবহন ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে রফতানি বানিজ্য। অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বানিজ্য স্বাভাবিকের  দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

বাণিজ্যিক সংশিষ্টরা জানান, দেশের ২৪ টি বন্দরের মধ্যে ১৬ টি বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে।পরিসংখ্যনে যার পরিমান ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি হয়। যার মধ্যে প্রায় শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে গার্মেন্টস শিল্পের তৈরী পোশাক। তবে হঠাৎ করে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রনালয় গত কাল একটি প্রজ্ঞাপনে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ  থেকে গার্মেন্টস শিল্পের তৈরী পোশাক,সুতা,প্লাস্টিক, কাটের তৈরী পণ্য এবং ফল ও ফল জাতীয় পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

এতে বেনাপোল বন্দরে আটকা পড়েছে এসব পণ্য।  তবে  ভারতের নবসেবা ও কলকাতা বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানির সুযোগ রাখলেও ঐসব বন্দরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা কঠিন ও ব্যয় বহুল হওয়ায় ব্যবসায়ীদের বানিজ্যে আগ্রহ কমেছে। এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ভারতের আকাশ পথ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে তৈরী পোশাক আমদানি বন্ধ করে ভারত। যৌতিক কোন কারন ছাড়ায় পর পর এধরনের নিষেধাজ্ঞায় রফতানি বাণিজ্য কমে  আসবে। এতে অথনীতিক ভাবে ক্ষতির শিকার হবে দুই দেশেই। পুনরায় এ সিদ্ধান্ত বিবেচনা করে বানিজ্য সহজ করতে ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ব্যানিজ্যিক সংশিষ্টরা।

বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক চালকেরা জানান, আগের পণ্য রফতানির সুযোগ থাকলেও নতুন করে বন্দরে আসা গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছি। শেষ পর্যন্ত কি হবে জানিনা। রফতানি কারক ইদ্রিস আলী জানান,কলকাতা ও নবসেবা সমুদ্র বন্দর দিয়ে রফতানি কঠিন ও ব্যয়বহুল। আটকে পড়া  রফতানি পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছি।

বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান,গতকাল ১৭ মে ভারত সরকারের বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অজয় ভদ্র সাক্ষরিত এক চিঠিতে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস,তুলা, সুতির বর্জ্য, কাট ও প্লাস্টিক ও কাটের তৈরী আসবাবপত্র, ফল জাতীয় পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।।  ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর বেনাপোল বন্দরে শতাধিক রফতানি মুখি গার্মেন্টস পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। ভারত সরকারকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে  বানিজ্য সহজ করার দাবি জানাচ্ছি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, হঠাৎ হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে বানিজ্য  ও সৌহার্দ্য সম্পর্ক্যে টানা পোড়ন  পড়তে শুরু করেছে। এত ক্ষতির শিকার দুই দেশের ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন।

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সুপারেন্টেড আশরাফ আলী রোববার বিকাল ৫ টায় জানান, ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর সকাল থেকে কোন গার্মেন্টস শিল্পের পণ্য ভারতে ঢোকেনি। তবে বেশ কিছু ট্রাক বন্দর ও বন্দর সড়কে দাড়িয়ে আছে জানতে পেরেছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়