ইফতেখার আলম বিশাল : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে আটক করেছে রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ। আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জাকির হোসেন অমি (৩৫) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ২০১৫-১৬ ব্যাচের ডেন্টাল ইউনিটের ছাত্র ছিলেন। পরে তিনি রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
মেডিক্যাল কলেজে থাকাকালীন অমি সিনিয়র শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, চুরি, নারী কেলেঙ্কারি, চাঁদাবাজি, প্রকাশ্যে মাদক সেবন এবং বহিরাগতদের নিয়ে হলে মাদকের আড্ডার মতো অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এমনকি নিজের রুমে এয়ার কন্ডিশনার লাগানোর মতো বিলাসবহুল আচরণ এবং বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাকে হল থেকে বের করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
অমির গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ গ্রামে হলেও তিনি নগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম ব্যাংক টাউন আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিলেন।
গত ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে (রাত ৩টার দিকে) অমি অপহরণের শিকার হন। পরদিন ১৬ জানুয়ারি বিকেলে রাজপাড়া থানার বিলশিমলা এলাকার রায়সা কমপ্লেক্সের একটি ভবন থেকে পুলিশি অভিযানে তাকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে অপহরণকারী হিসেবে অভিযুক্ত রায়সা কমপ্লেক্সের পরিচালক আব্দুর রশিদ ও তার ড্রাইভার মীমকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার অপহরণকারী রশিদ সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের দোসর ও তার ড্রাইভার যুবলীগ নেতাকর্মী বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও নাশকতার মামলায় জাকির হোসেন অমিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক অভিযোগ ছিল।
জাকির হোসেন অমির গ্রেফতারের ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন, আবার অনেকে বিষয়টি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :