শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:২৯ রাত
আপডেট : ১২ মে, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে সাইনবোর্ড খুলতে গিয়ে মই থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরে সাইনবোর্ড খুলতে গিয়ে মই থেকে পড়ে আহত হয়ে মারুফ লস্কর (১৩) নামে এক শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারী) বাদ জোহর জানাজা শেষে স্থানীয় পারিবারিক কবরাস্থানে মারুফের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। 

এর আগে রোববার (১৩ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে ফরিদপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশুটি মারা যায়। মারুফ লস্কর ফরিদপুরের সালথা উপজেরার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামের সোহরাব লস্করের ছেলে। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট। বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।

সোহরাব লস্কর স্ত্রী শামেলা ও ছেলে মারুফকে নিয়ে ফরিদপুর শহরের আলীপুর রাজ্জাকের মোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর নিহত মারুফ স্থানীয় আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, একটি হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে মারুফ পড়াশোনার পাশাপাশি পোস্টার সাঁটানো কিংবা সাইনবোর্ড লটকানোর কাজ করত। গত রবিবার বিকেলের দিকে সে শহরের রাজ্জাকের মোড় একটি বিউটি পার্লারের কয়েকটি ডিজিটাল সাইবোর্ড টাঙায়। এরপর ওই এলাকার খাবার হোটেলের একটি সাইবোর্ড নামানোর জন্য মই বেয়ে উপরে উঠলে সে পা পিচলে সড়কে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামে নিহত মারুফের বাড়িতে গিয়ে এক বেদনা বিধুর পরিবেশ দেখা যায়। বাড়ির উঠানে একটি চেয়ারের উপর বসে আছেন বাবা সোহরাব। অঝোরে কাঁদছেন তিনি। দুইটি সন্তানই তার একটি মেয়ে আর একটি ছেলে। মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে কোন সান্তনাতেই তাকে থামানো যাচ্ছে না।  

বাবা সোহরাব বিলাপ করতে করতে বলতে থাকেন, ‘আমার কি সর্বনাশ হইয়া গেল রে, আমার সোনা হারায় গেল রে। এখন কে আমাকে বাবা ডাকবে, কে পাশে দাঁড়াবে। আমার সব আশা শেষ হইয়া গেল।’ মারুফের মা শামেলা বেগম ঘরের মধ্যে আহাজারি করছেন। তাকে ঘিরে রেখেছে প্রতিবেশিরা।


এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, এ মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মৃত শিশুর মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহটি স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে মরদেহটি জেলার সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়