সালেহ্ বিপ্লব: [২] কম খরচে কৃষিজাত পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম লাগেজ ভ্যান নিয়ে রোববার ঢাকা ছেড়েছে সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস। নন-রেফ্রিজারেটর লাগেজ ভ্যানটি ৪ হাজার ৬০০ কেজি পণ্য বহন করছে।
[৩] বেলা সাড়ে ১১টায় কমলাপুর (ঢাকা) রেলওয়ে স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যায় জয়ন্তিকা। উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
[৪] রেলসূত্র জানায়, কৃষিজাত পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েতে যুক্ত করা হবে অত্যাধুনিক ১২৫টি ল্যাগেজ ভ্যান। এর মধ্যে থাকবে ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এসব লাগেজ ভ্যান সংযোজন করা হবে।
[৫] রেলওয়ের আয়ের অন্যতম খাত পণ্য পরিবহন। বর্তমানে রেলওয়েতে ৪১টি মিটারগেজ ও ১০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান আছে। যার বেশিরভাগের অর্থনৈতিক আয়ু শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। ফলে পণ্য পরিবহন থেকে যথেষ্ট আয় করতে পারছে না রেলওয়ে। অত্যাধুনিক এসি লাগেজ ভ্যান যুক্ত হলে রেলওয়েতে মাছ ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য পরিবহন করা যাবে।
[৬] সরকার ২০১৮ সালের ২৬ জুন পণ্য পরিবহন ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে ৩ হাজার ৬০২ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২ হাজার ৮৩৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ঋণ দেবে। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। সে অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে ও চীনের মধ্যে ওই লাগেজ ভ্যান সংগ্রহে দুটি চুক্তি সই হয়। যদিও ২০২২ সালের জুলাই থেকে এসব লাগেজ ভ্যান বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত সব লাগেজ ভ্যান দেশে আসেনি। এটি চালু হলেও শুরুতে তা শুধু পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :