মাসুদ আলম: [২] বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সপ্তম দফা অবরোধের শেষদিন সোমবার ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। জনজীবন ছিলো অনেকটাই স্বাভাবিক। রাজধানী থেকে দূরপাল্লার বাসও ছেড়ে গেছে। মহাসড়কে তুলনামূলক যানচলাচলও বেড়েছে। তবে রাজধানীতে যানচলাচল ছিলো স্বাভাবিক। রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়।
[৩] তবে নাশকতা এড়াতে সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে এস্কর্ট প্রদান করে র্যাব। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ। দলটির কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলছে। কার্যালয়টির সামনে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
[৪] সোমবার ভোরে নাটোরের বড়াইগ্রামে ফিলিং স্টেশনে ৩টি দাঁড়ানো বাসে আগুন দেওয়া হয়। রোববার গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কাজলা গেটের সামনে পণ্যবাহী একটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা তুহিন পরিবহন নামে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। দিনাজপুর কাহারোল উপজেলায় ধান বোঝাই একটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া বিকেলে রাজধানীর শ্যামলীতে বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
[৫] মগবাজার, হাতিরঝিল, আরামবাগ, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে।
[৬] শনির আখড়া, মুগদা বিশ্বরোডে, ডেমরা, লালবাগ, পল্লবী, মিরপুর, বাড্ডা, তেজগাঁও, উত্তরা ও আদাবরে মিছিল করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সম্পাদনা: ইকবাল খান