শহীদুল ইসলাম: [২] আটক মো. জাহেদ হোসেন (২৫) সোমবার (২ অক্টোবর) ইউএস বাংলার ফ্লাইটে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসেন। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ওই ব্যক্তিকে সন্দেহ হলে ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দারা তাকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করেছেন, যার সম্ভাব্য পরিমাণ ৩৫০০ পিস।
[৩] নিশ্চিত হওয়ার জন্য যাত্রীকে উত্তরার হলিল্যাব ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায় বিমানবন্দর এপিবিএন। এক্সরে পরীক্ষা এবং ডাক্তারের রিপোর্টে জাহিদের পাকস্থলীতে ছোট ছোট প্রায় ৭২টি প্যাকেটের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ইয়াবার অস্তিত্ব নিশ্চিত হবার পর বিমানবন্দর থানার সহযোগিতায় যাত্রীকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে তার পেট থেকে মোট ৭২টি ইয়াবা প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। গণনা শেষে সেখানে ৩৫১৮ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
[৪] অভিযুক্ত মো. জাহিদ হোসেন (২৫) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা, তার পিতার নাম মো. আ. গফুর। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, প্রতি ১০০০ পিস ইয়াবা বহনের জন্য ১০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। এই চালান পৌঁছে দিতে পারলে প্রায় ৪০ হাজার টাকা পেতেন তিনি।
[৫] অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, এর আগেও অভিযুক্ত জাহিদকে বিমানবন্দরের সামনে থেকে ইয়াবাসহ আটক করে মামলা দেয়া হয়। সেই মামলায় ১০ দিন আগে জামিন পেয়েছেন জাহিদ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব