শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:০৮ রাত
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৫:০২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিমানবন্দরে নারী ফুটবলারদের লাগেজে চুরির অভিযোগ

শাহজালাল বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেলো

ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কনভেয়ার বেল্টের কিছু ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি এসেছে সংবাদমাধ্যমগুলোর হাতে। একাত্তর টিভি অনলাইন

এসব ছবি বিশ্লেষণ করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথেই বলছে, সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের ব্যাগ বুঝে নেয়ার আগ পর্যন্ত তা পুরোপুরি অক্ষত ছিল। বাংলাদেশ বিমানও বলছে একই কথা। 

এদিকে বাফুফে বলছে, ডলার উদ্ধার করা না গেলে তারাই দুই খেলোয়াড়কে সেই অর্থ দিয়ে দেবেন। 

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সিসিটিভির এই ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে তারা দেখেছেন দুপুর একটা ৫৯ মিনিট থেকে দুইটা আট মিনিটের মধ্যে নেপাল থেকে আসা নারী ফুটবলার ও তাদের সব স্টাফদের ব্যাগ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এই ফুটেজের কোনো জায়গায় ব্যাগ কাটা বা এর ভেতরে কাউকে হাত দিতে তারা দেখেননি এবং অক্ষত অবস্থাতেই সব ব্যাগ বাফুফে প্রতিনিধিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। 

সিভিল এভিয়েশেন ছাড়াও দেশের প্রায় সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থা বিমানবন্দরের পুরো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোঃ কামরুল ইসলাম।   

যদিও  নেপাল থেকে ফেরার পর রাতে বাফুফে ভবনে ব্যাগ হাতে পাবার পর কৃঞ্চা রানী সরকারের ৯০০ আর সিনিয়র শামসুন্নাহারের ব্যাগ থেকে ৪০০ ডলার চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাফুফে।  বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে চুরির দাবীকে বিভ্রান্তিকর বলা হয়েছে। 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক দুলাল চন্দ্র দাশ জানান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়গণ লাগেজগুলো সঠিক অবস্থায় বুঝে নেন। লাগেজগুলো বুঝে নেওয়ার সময় লাগেজ হতে কোনো কিছু খোয়া যাওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

তাহলে কৃষ্ণারাণী ও শামসুন্নাহারের ডলার গেলো কই? এই প্রশ্নের উত্তর কারো কাছেই নেই। তবে বাফুফের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, তদন্তে কোনো কিছু বের না হলেও তারা এই অর্থ দুজনকে দিয়ে দেবেন। 

বিমানবন্দর থেকে খেলোয়াড় ও স্টাফদের ব্যাগ একটি কাভার্ডভ্যানে করে বাফুফে ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই কোথা থেকে এই ডলার চুরি হলো সেটি এখন বড় টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

তবে জানা গেছে, গভীর রাত পর্যন্ত এই ব্যাগগুলো বাফুফে ভবনের নীচতলায় দরজার পাশে কোনো ধরনের প্রহরা ছাড়াই জড়ো করে রাখা ছিল।  

ভিডিও: একাত্তর টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়