শিরোনাম
◈ বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলে পথে তারেক রহমান (সরাসরি) ◈ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড: ফায়ার কার্তুজ-বুলেট ব্যালিস্টিক পরীক্ষার নির্দেশ ◈ গাড়ি নেই বিমানবন্দর সড়কে, হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষজন ◈ সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করেছে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান ◈ ভোটের আগেই বিজয়ী আওয়ামী লীগ, যেভাবে হয়েছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ◈ দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর স্বপরিবারে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরলেন তারেক রহমান ◈ তারেক রহমানের সংবর্ধনায় আসার পথে দুর্ঘটনায় আহত ৩২ ◈ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে আজ: সালাহউদ্দিন আহমদ (ভিডিও) ◈ সিলেট পৌঁছেছেন তারেক রহমান ◈ আজ রাজধানীতে চলাচলে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০১:২৫ রাত
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৬ দিনের ঢাকাজীবনেই শেষ, ‘স্বামী’ পরিচয়ে মরদেহ ফেলে যাওয়া সেই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত

একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আর পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন নিয়ে মাত্র ১৬ দিন আগে মাগুরা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন রাশেদা আক্তার (২২)। কিন্তু সেই স্বপ্ন ধুলোয় মিশে গেল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের হিমশীতল ফুটপাতে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে ‘স্বামী’ পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তি মরদেহটি রেখে কৌশলে পালিয়ে যান। অজ্ঞাতপরিচয় সেই নিথর দেহটিই আজ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। পরিবারের দাবি– গ্রামের প্রতিবেশী নয়ন ইসলামের লালসার বলি হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন মেধাবী এই তরুণী।

নিহত রাশেদা আক্তার মাগুরা সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে। সম্প্রতি মাগুরার আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির প্রস্তুতির পাশাপাশি বড় বোন খালেদা আক্তারের সঙ্গে মিরপুর-১ এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গত ৭ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় আসেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে গিয়ে বড় বোন খালেদা ও ভগিনীপতি মামুন মরদেহটি শনাক্ত করেন। এর আগে সোমবার রাতে এক যুবক মরদেহটি জরুরি বিভাগে রেখে কৌশলে পালিয়ে যান।

বোন খালেদা ও ভগিনীপতি মামুন জানান, মঙ্গলবার সকালে মাগুরা থেকে ফোনে তারা জানতে পারেন যে, এলাকায় রটেছে নয়ন রাশেদাকে মেরে ফেলেছে এবং তার পরিবার পলাতক। এরপরই তারা হাসপাতালে ছুটে আসেন।

খালেদা আক্তার অভিযোগ করেন, রাশেদাকে গ্রামের প্রতিবেশী মতিউর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করত।
 
তিনি বলেন, ‘নয়নের যন্ত্রণায় আমার বোন ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারত না। সেই নয়নই আমার বোনকে শ্বাসরোধ করে মেরে ঢাকা মেডিকেলে ফেলে রেখে পালিয়েছে। আমরা নয়নসহ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার কঠিন বিচার চাই।’

স্বজনরা জানান, গত শনিবার রাশেদা কর্মস্থলে যাননি। রাত ৮টার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরে জানা যায়, ওই রাতে নয়ন মিরপুরে রাশেদার বাসার সামনে এসে তার সঙ্গে দেখা করেন। একটি দোকানের সামনে তাদের দুজনকে প্রচণ্ড ঝগড়া করতেও দেখা গেছে। এরপর থেকেই রাশেদা নিখোঁজ ছিলেন এবং তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আজম জানান, নিহতের স্বজনরা মঙ্গলবার রাতে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। অভিযুক্ত নয়নকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। উৎস: সময়নিউজটিভি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়