নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করে যাওয়া ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় চার হাজার লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডারকে নতুন গঠন করা ডেইরি উন্নয়ন বোর্ডের অন্তভূক্ত করার দাবিতে মানবন্ধন করা হয়েছে।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই দাবিতে মানবন্ধন করেন লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডাররা।
এরপর এই দাবি নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যান তারা। মানবন্ধনে অংশ নেওয়া সারাদেশ থেকে আসা লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডারদের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে চার হাজার দুইশত জন লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার নিয়োগ দেওয়া হয়।
নতুন উদ্যেক্তা তৈরি করা, দুধ ও দুগ্ধজাত পন্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে স্থানীয় খামারিদের প্রশিক্ষন ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারী ক্ষমতায়ন ও গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে এই ডোর টু ডোর প্রাণিসেবা প্রদানের প্রকল্প নেওয়া হয়।
এর মাধ্যমে সারাদেশে ৪০ শতাংশ পুরুষ ও ৬০ শতাংশ নারী নিয়ে ছয় হাজার পাচশতটি উৎপাদনকারী দল তৈরি করা হয়। তবে বর্তমানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাই বর্তমান এই প্রকল্পে কর্মরতদের বেকারত্বের দিগে ঠেলে না দিয়ে বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ডের অন্তভূক্ত করে ইউনিয়ন ভিত্তিক স্থায়ী করার দাবি জানানো হয়।
তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পটি আগামী মার্চ মাসে শেষ হয়ে যাবে। তাই এই প্রকল্পের সদস্যদের নতুন গঠন করা ডেইরি উন্নয়ন বোর্ডের অন্তভূত করে ইউনিয়ন ভিত্তিক স্থায়ী করার দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা, প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের নিকট একাধিক বার স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
আন্দোলন না করে শান্তিপূর্ণ ভাবে দাবী জানাতে বলা হলেও একাধিকবার শান্তিপূর্ণ ভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি ও সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয় তবে এখনো কোন ফল আসেনি। সাবেক মহাপরিচালক মন্ত্রণালয় বরাবর একটা আদেশ কপি ফরোয়ার্ডিং করেছেন বলা হলেও এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। যারা এই প্রকল্পে কর্মরত তারা সবাই প্রশিক্ষণরত।
এই ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অধিকাংশ সরকারি চাকরি করার সুযোগ হারিয়েছে এবং অনেকে অন্য প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পে যোগদানের বয়সসীমা হারিয়েছেন। তাই নতুন গঠন করা ডেইরি বোর্ডে এলএসপিদের নিয়োগ দিলে বোর্ড যেমন একদল প্রশিক্ষিত কর্মী পাবে তেমনি চাকরি হারানোর অনিশ্চয়তা থেকে এলএসপি কর্মীরা রক্ষা পাবেন।