শিরোনাম
◈ অতীতের জটিলতা ভুলে বাস্তবতার পথে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, নতুন উদ্যোগে থাকছে যা যা ◈ বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের মহড়া, প্রথম দিন শে‌ষে স্বস্তিতে আয়ারল্যান্ড ◈ দেশের সব বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা জারি ◈ রাজধানীতে আবারও বাসে আগুন  ◈ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রমজান আমদানিতে সহজ নীতি ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ দিল্লিতে বিস্ফোরণ, বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে: তৌহিদ হোসেন ◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার ◈ ব্রাজিলের রোনালদো বল‌লেন, ক্রিশ্চিয়ানো ‌রোনাল‌দো সর্বকালের সেরা নয় ◈ কথা দিচ্ছি, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সব তুলে নেয়া হবে: মির্জা ফখরুল (ভিডিও) ◈ কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল ঢাকায় ১১ দিনে ১৭ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:১০ বিকাল
আপডেট : ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক হাসপাতালেই সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপি, ব্যাংকের নিলামেও মিলছে না ক্রেতা

রাজধানীর বহুল আলোচিত-সমালোচিত বেসরকারি হাসপাতালগুলোর একটি আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বেসরকারি এ হাসপাতালের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) ঋণ রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার। বিপুল এ ঋণের প্রায় সবটাই এখন খেলাপি। হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার হোসেন খান পলাতক। একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।

আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালের সঙ্গে মেডিকেল কলেজ, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ আরো কিছু অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ঋণের অর্থ আদায়ে ব্যাংক নির্বাহীদের দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে। ঋণখেলাপি আনোয়ার হোসেন খানকে খুঁজে না পেয়ে এখন বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে তোলা শুরু করেছে ব্যাংকগুলো। যদিও নিলামে সেসব সম্পত্তি কেনার মতো ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালসহ আনোয়ার হোসেন খানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের স্থিতি এখন ৩ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত অনাদায়ী সুদ যুক্ত হওয়ায় ঋণের স্থিতি ক্রমশ বাড়ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ রয়েছে একীভূত হতে যাওয়া শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের। আনোয়ার হোসেনের কাছে ব্যাংকটির পাওনা ঋণের পরিমাণ ৯৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে বিপদে আছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিও। ঋণদাতা অন্য ব্যাংগুলো হলো যমুনা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, এবি ব্যাংক ও শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। এ ব্যাংকগুলোর বাইরে আরো কিছু ব্যাংক এবং এক ডজনের বেশি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) থেকে ঋণ নিয়েছেন আনোয়ার হোসেন।

বণিক বার্তার অনুসন্ধান ও ব্যাংক নির্বাহীদের দেয়া তথ্য বলছে, নিজের নামে থাকা কোম্পানির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বেনামি ঋণও নিয়েছেন আনোয়ার হোসেন খান। এক্ষেত্রে স্ত্রী, শাশুড়ি, শ্যালকসহ কোম্পানির অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামও ব্যবহার করেছেন তিনি। নামে-বেনামে নেয়া এসব ঋণের একটি অংশ তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন। দেশটিতে তার স্ত্রী, কন্যাসহ নিকট আত্মীয়রা বসবাস করেন। তবে দেশেও নামে-বেনামে বিপুল জমি, বাড়িসহ সম্পত্তির মালিক বনেছেন আনোয়ার হোসেন। এর মধ্যে কেবল রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকাতেই ২০টির বেশি বাড়ি রয়েছে তার। যদিও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ঋণের জামানত হিসেবে রাখা সম্পত্তিগুলোর মূল্য ৫০০ কোটি টাকাও হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আনোয়ার হোসেন খান বেসরকারি খাতের শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকদের একজন। তিনি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যানসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ঋণখেলাপি হওয়ায় এরই মধ্যে তিনি ব্যাংকটির পর্ষদ থেকে বাদ পড়েছেন। শরিয়াহভিত্তিক এ ব্যাংকের তিনটি পরিচালক পদের মালিকানা ছিল তার। এরই মধ্যে দুটি পদের মালিকানা তথা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।

আবার চতুর্থ প্রজন্মের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকেরও দুটি পরিচালক পদের মালিকানায় ছিলেন আনোয়ার হোসেন। এ ব্যাংকের শেয়ারও তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। এসবিএসি ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন তার স্ত্রী তাহমীনা আফরোজও। তিনিও ব্যাংকটির পর্ষদ থেকে বাদ পড়েছেন। তবে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান পদে থাকা তাহমীনা আফরোজ এখনো তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। এছাড়া আনোয়ার হোসেন খান লুটপাটের শিকার হয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালকদের একজন ছিলেন।

আনোয়ার হোসেন খানের কাছ থেকে খেলাপি হয়ে যাওয়া ৩৪৮ কোটি টাকা আদায়ে সম্প্রতি নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যমুনা ব্যাংক পিএলসি। ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির ধানমন্ডি শাখায় রক্ষিত বাক্সে দরপত্র জমা দেয়া যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডের ১৮ নম্বর প্লটের ১০ কাঠা জমির নিলাম আহ্বান করা হয়েছে। এ জমির পাশাপাশি ১৭ নম্বর প্লটে আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতাল এবং আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের অবস্থান বলে জানা গেছে। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জামানতের সম্পত্তি বিক্রি করে যমুনা ব্যাংক ১০০ কোটি টাকাও আদায় করতে পারবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ জমি কেনার জন্য কেউ আগ্রহীও হবে না।

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ভালো সময়ে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে দৈনিক ৭০-৮০ লাখ টাকা আয় হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ আয়কে পরিচালন মুনাফা ধরা যায়। সে হিসাবে হাসপাতালসহ গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন মুনাফা দিয়ে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার ঋণের কিস্তি পরিশোধ সম্ভব। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর যে পরিমাণ ঋণ দাঁড়িয়েছে, সেটি অকল্পনীয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় দিয়ে কেয়ামত পর্যন্তও ব্যাংক ঋণ পরিশোধ সম্ভব হবে না!’

দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর একটি ল্যাবএইড। এ হাসপাতালের প্রধান শাখা ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়ক তথা আনোয়ার খান মডার্ণের কাছাকাছি অবস্থিত। ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. এএম শামীম বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএইচসিডিওএ) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ চিকিৎসা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক ঋণ বেশি হওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রথম পাঁচ-সাত বছরে তেমন কোনো মুনাফা হয় না। কোনো হাসপাতালের দৈনিক আদায় যদি ৮০ লাখ টাকা হয়, সে হাসপাতালের সর্বোচ্চ বিনিয়োগ হওয়া উচিত ২৪০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ১২০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যায়।’

কোনো ব্যক্তিরই ব্যবসা ও রাজনীতি একসঙ্গে করা ঠিক নয় বলে মনে করেন ডা. এএম শামীম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বহু ভালো ব্যবসায়ী রাজনীতিতে নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আবার অনেক রাজনীতিবিদ ব্যবসায় এসে পরিবেশ নষ্ট করেছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে যে নৈতিকতা ও সুশাসন প্রয়োজন সেটি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর থাকে না।’

দেশের স্বাস্থ্য খাতে আনোয়ার হোসেন খানের অস্বাভাবিক উত্থান হয়েছে গত দুই দশকে। জানা যায়, চলতি শতকের শুরুর দিকেও তিনি রাজধানীর ফকিরাপুলে একটি ছোটখাট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসি চালাতেন। এরপর ২০০৫ সালে আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতাল গড়ে তোলেন। আর ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ। ২০১০ সালের আগ পর্যন্তও আনোয়ার হোসেন খান নিজেকে বিএনপি সমর্থক হিসেবে পরিচয় দিতেন। কিন্তু এরপর তিনি আওয়ামী লীগের নেতা বনে যান। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শাসনামলে অনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ বের করতে থাকেন। ঋণের সে অর্থ খাটান শেয়ারবাজার কারসাজিতে। এভাবে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার থেকে বের করে নেয়া অর্থের একটি অংশ বিদেশে পাচার করেন বলে জানা গেছে। বাকি অর্থ দেশে জমি, বাড়িসহ সম্পত্তি কেনায় ব্যবহার করেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে হঠাৎ করেই লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের কাণ্ডারী বনে যান আনোয়ার হোসেন খান। যদিও শুরুতে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক তরিকত ফেডারেশন থেকে।

আনোয়ার হোসেন খানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঋণদাতা ব্যাংকের একাধিক শীর্ষ নির্বাহী ও শাখা ব্যবস্থাপক জানান, আনোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগ ঋণ নেয়া হয়েছে ২০১০ সাল-পরবর্তী সময়ে। বিশেষ করে ২০১৮ সালে এমপি হওয়ার পর তার চলাফেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তিনি নিজেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ছেলে’ পরিচয় দিতে থাকেন। ব্যাংক থেকে ঋণ বের করতে সে সময়ের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলে নূর তাপসের নাম ও ক্ষমতা ব্যবহার করতেন। শেখ পরিবার ও ফজলে নূর তাপসের ব্যবসায়িক অংশীদার এবং ফান্ড ম্যানেজার হিসেবেও নিজেকে জাহির করতেন। ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে উল্টো ব্যাংক নির্বাহী ও কর্মকর্তাদের ধমকাতেন। এ কারণে খেলাপির উপযুক্ত হলেও তার ঋণ গত দেড় দশকে খেলাপি করা যায়নি। এমনকি মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবেও দেখানোর সুযোগ ছিল না।

আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খাঁন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা তাকে খুঁজছি। আমাদের কাছে তার কিছু সম্পদ জামানত আছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আদায় না হলে ঋণ (বিনিয়োগ) আদায়ে জামানতের সম্পদ নিলামে তোলা হবে।’

সামগ্রিক বিষয়ে চেষ্টা করেও আনোয়ার হোসেন খানের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নম্বরই বন্ধ রয়েছে। আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি এ প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন খানের বক্তব্য ও পরিস্থিতি জানতে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। কিন্তু কোনো কর্মকর্তাই এ বিষয়ে নাম উদ্ধৃত করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আনোয়ার হোসেন খান এখনো দেশেই আছেন। মাঝে মধ্যে রাত ১০টার পর তিনি হাসপাতালে আসেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। তিনি জনসমাগম এড়িয়ে চলছেন।

একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হাসপাতালের ব্যবসায়িক পরিস্থিতি একেবারেই ভালো নেই। ভালো কিছু ডাক্তারকে বাড়তি অর্থ দিয়ে হাসপাতালে আনা হচ্ছে। এ ডাক্তারদের নিয়মিত রোগীরাই মূলত এখন হাসপাতালে আসেন। এভাবে হাসপাতালটি কোনো রকমে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।’

সূত্র: বণিক বার্তা 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়