শিরোনাম
◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন ◈ লন্ডনে এক লাখেরও বেশি মানুষের অভিবাসনবিরোধী সমাবেশ, পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে আহত ২৬ কর্মকর্তা ◈ কক্সবাজারে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তার সামনে স্বামীকে হত্যা ◈ এক ম্যাচে দুই ভাইয়ের গোল, ইন্টার মিলান‌কে হারা‌লো জুভেন্টাস ◈ আজ থেকে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু, ভোট ১২ অক্টোবর ◈ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২২% বৃদ্ধি, চীনের হারানো অর্ডার এলো দেশে ◈ বিরল দৃশ্যের অবতারণা, কাবা ঘরের ওপর নেমে এলো চাঁদ

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২৫, ০৫:৫৯ বিকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা:  এবার মুখ খুললেন তার স্ত্রী (ভিডিও)

রাজধানীর মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দীনকে হত্যার ঘটনায় মূল আসামিরা এখনো অধরা থাকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তার পরিবার। চাঁদা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে সাহিনুদ্দীনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে দ্রুত সকল আসামিকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

সম্প্রতি ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে নিহত সাহিনুদ্দীনের স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই আকুতি জানান। তিনি বলেন, তার স্বামীর ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা করে আসছিল। তারা ব্যবসার অংশীদারত্ব অথবা প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তার স্বামী এতে রাজি না হওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, "সমস্যার সমাধান করার কথা বলে তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কথা বলার এক পর্যায়ে তার কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে তাকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মিটফোর্ডের তিন নম্বর গেটের কাছে নিয়ে বড় পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়।"

নিহতের স্ত্রী আরও জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল হোতাদের অনেকেই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি টিটু, রাকেশ, কাইয়ুম মোল্লাসহ মূল আসামিদের নাম উল্লেখ করে বলেন, "যতদিন তারা বাইরে থাকবে, ততদিন আমরা আতঙ্কে থাকব। আমি আমার ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্কুলে যেতে পারছি না, ভয়ে ঘরের বাইরে বের হতে পারছি না। আমার স্বামীর দোকান বন্ধ, আমাদের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে ভীষণ কষ্টের মধ্যে আছি।"

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, "যারা এমন নিষ্ঠুরভাবে একজন মানুষকে হত্যা করতে পারে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে এমন শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়। আমি চাই না আমার মতো আর কোনো বোন বিধবা হোক, আমার ছেলেমেয়ের মতো আর কোনো শিশু এতিম হোক।"

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারটি এখন ন্যায়বিচার ও নিজেদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তারা মনে করেন, সকল খুনি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আতঙ্ক কাটবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়