বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে চলমান আন্দোলনে আন্দোলনকারী ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার পর নগর ভবনের সম্মুখে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, নগর ভবনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের যে পক্ষটি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ‘বিরোধী’, তাদের লোক সন্দেহে পিটুনির ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনার ভিডিও ধারণ করার কারণে সাংবাদিকদের ছুরি দেখিয়ে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, মারামারির ঘটনায় একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন আরিফুজ্জামান প্রিন্স। অপর আরেকটি পক্ষের নেতৃত্বে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী।
হামলার বিষয়ে আরিফুজ্জামান বলেন, ‘ইশরাক হোসেন নগর ভবন চালু করার ঘোষণার পরেও বহিরাগত কিছু লোক প্রতিদিন নগর ভবনে মহড়া দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি করে আসছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে নিরাপদে অফিস করতে পারেন, সে জন্য কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে নগর ভবনে মিছিল শুরু করেন। এর পরপরই অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে।’
আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকাবাসীর ন্যায্য আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য দুদকে অভিযুক্ত সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী আসিফ ঘনিষ্ঠ রুবেল বহিরাগতদের সংগঠিত করে এই হামলা চালায়।’ তিনি নিজেও এই হামলায় আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই রুবেল মেয়র তাপসের ঘনিষ্ঠতম সহযোগী ছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে রুবেল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের সব ঠিকাদারী কাজ ভাগ বাটোয়ারা করতো।’
হামলায় আহত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আন্দোলনকারীরা নগর ভবনের গেটে অবস্থান করলে বেশকিছু যুবক দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে। হামলাকারীরা চাকু দেখিয়ে সাংবাদিকদেরও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। হামলায় আন্দোলনকারী মনির, জসীম, মহিদুল, জুয়েল, কাইয়ুম, দিনার, জনিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উৎস: বাংলাট্রিবিউন ও এন টিভি।