শিরোনাম
◈ তারেক রহমানের জন্য বাসভবন, অফিস প্রস্তুত ◈ লাগেজ না খুলেই বিস্ফোরক শনাক্ত: বিমানবন্দরে বসছে ইটিডি মেশিন ◈ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে মিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ◈ হাদিকে গুলি, তদন্তে উঠে এলো আঁতকে ওঠার মতো তথ্য  ◈ মুসলিমদের ভোটাধিকার বঞ্চিত করতে ভারতে ভোটার তালিকা সংশোধন  ◈ হাদিকে হত্যাচেষ্টা: শ্যুটার ফয়সালের মা-বাবা গ্রেপ্তার ◈ বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা ◈ সিঙ্গাপুরে হাদির চিকিৎসা: সর্বশেষ পরিস্থিতি জানালেন ভাই ওমর বিন হাদি ◈ ইউরোপযাত্রায় নৌকাডুবি: মাল্টার কাছে উদ্ধার ৫৯ বাংলাদেশিসহ ৬১ অভিবাসী ◈ হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে আদালতে নতুন তথ্য দিল কবির

প্রকাশিত : ২৪ জুন, ২০২৫, ১১:১২ রাত
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালা শাশুড়িকে ধর্ষণের পর হত্যা, ভাগনি জামাই গ্রেপ্তার 

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মোবাইলফোনের মাধ্যমে খালা শ্বাশুড়ির (৫৪) সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে ভাগনি জামাই মো. সেলিম (৪৭)। ঈদুল আজহার সময় বাড়ি এসে মোবাইলফোনে সেলিম তাকে ডেকে নেয়। ঘর থেকে বের করে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়। পরে তার গলার চেইন, কানের দুল ও হাতের স্বর্ণের আংটি নিয়ে সেলিম পালিয়ে যায়। 
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আসামির বরাত দিয়ে ওই নারীকে হত্যার রহস্য এভাবেই উপস্থাপন করেন কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম।

গত সোমবার রাতে রাজধানির আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বটতলী এলাকা থেকে আসামি সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার ৮ দিন পর পুলিশ এ হত্যার আসামিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটন করে। সেলিমের কাছ থেকে ওই নারীর স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার সেলিম কমলনগর উপজেরার চরকালকিনি ইউনিয়নের চরসামছুদ্দিন এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ শরবত বিক্রেতা ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেলিম ওই নারীর ভাগনি জামাই। মোবাইলফোনের মাধ্যমে কথা বলে সে খালা শ্বাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। একইভাবে ১৫ জুন রাতে মোবাইলফোনে কথা বলে সেলিম তাকে ঘর থেকে বের করে নেয়। পরে পার্শ্ববর্তী নুরু মিয়া সর্দারের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে নারীকে হত্যা করে। পরে তার  গলার চেইন, কানের দুল ও হাতে থাকা ৩ টি স্বর্ণের আংটি নিয়ে পালিয়ে যায় সেলিম। 

পরদিন দুপুরে স্থানীয় শিশুরা ওই বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ চরকালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাট এলাকার ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে সেলিম পলাতক ছিলেন। পরে মৃত নারীর মোবাইলফোনের কল লিস্ট চেক করে পুলিশ আসামি সেলিমকে শনাক্ত করে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে আশুলিয়া থানার বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। স্বর্ণালংকারগুলো বটতলী এলাকার একটি স্বর্ণের দোকানে বন্ধক রাখা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে ওই জুয়েলার্স দোকান থেকে স্বর্ণালংকার জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি আরও তদন্ত চলছে। অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়