উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ৪০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে রাজধানীর নতুনবাজারে সড়ক অবরোধ করেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁরা কুড়িল বিশ্বরোড-বাড্ডা সড়কে অবস্থান নেন। এতে ওই রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
শিক্ষার্থীরা জানার, তাঁরা দুটি প্রধান দাবিতে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। দাবিগুলো হলো—আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে যেসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের বহিষ্কারাদেশ নিঃশর্তে প্রত্যাহার; প্রশাসনিক সংকট নিরসন করে দ্রুত স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালুর ঘোষণা।
অবরোধ ঘিরে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুলতান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে পাশে অবস্থান নিতে অনুরোধ করেছি যাতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে যায়। তাঁরা জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ পর সরে যাবেন।’
সকাল ১০টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র ও শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল ইউআইইউ ক্যাম্পাসে আন্দোলনের জেরে উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। পরদিন, ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করে। পরবর্তীতে ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস চালু করা হলেও শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাঁরা সরাসরি ক্লাস চালু এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের ১৩ দফা যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করে আসছে। বরং আন্দোলন দমন করতে ২ জুন ৪১ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৪ জনকে স্থায়ীভাবে এবং ১৬ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়।