সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ) শুরু হলেও ১৫ তারিখের পরে আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। তবে কোনো কোনো বিক্রেতারা জানিয়েছেন বিক্রি নয়, পণ্যের প্রচারণার জন্যই তারা মেলায় অংশ নিয়েছেন।
[৩] মেলায় আসা একাধিক দর্শনার্থী জানান, রাস্তার চরম এতই খারাপ যা হাঁটা বা গাড়ি নিয়ে চলাচলের অযোগ্য। রাস্তা অন্ধকার। মেলায় ঢোকার পথে অহরহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মেলার ভেতরে একটি পুলিশ ক্যাম্প আছে। কিন্তু তারা অভিযোগ নিতে হিমশিম খাচ্ছে। বাইরে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প থাকলে খটনাগুলো কম ঘটতো।
[৪] পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী আয়োজিত বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
[৫] ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় শুরুতে কিছুটা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি অনেকটাই কম। মেলায় মানুষ একবার আসে না। শুরুর দিকে একবার আসে। এরপরে ২০ তারিখের পরে কিছুটা ডিসকাউন্ট, ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ এ ধরণের পণ্য কিনতে আসে।
[৬] এখানে একবার যারা আসছে তারা নানান রকম ভেগান্তির শিকার হচ্ছেন। দূরত্ব বিবেচনায় অনেকেই এ বছর মেলায় আসেননি। তবে স্থানীয়দের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে মেলাকে ঘিরে।
[৭] কাশ্মীরি শাল হাউজে গিয়ে দেখা যায়, ভিড় আছে। বিক্রি আছে। দোকানে থাকা একজন জানান, শীত একটু বেশি পড়াতে বেচা বিক্রি বেড়েছে। তবে আমাদের আশানুরূপ বিক্রি নেই। ভিড় হচ্ছে মেলায়, তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
[৮] মেলা যত গড়ায়, বিক্রিও তত বাড়ে। সামনের দিনগুলোতে বিক্রি আশানুরূপ হবে বলে আমরা আশাবাদী। এবারের মেলার সিংহভাগ দর্শনার্থী আশপাশের গ্রামের। ফলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাটি পরিণত হয়েছে অনেকটা স্থানীয় মেলায়। তাদের কাছে বাণিজ্য মেলায় কেনাকাটার চেয়ে এত বড় আধুনিক স্থাপনা দেখা, ছবি তোলার প্রতিই বেশি আগ্রহ।
[৯] এবার মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কারপেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ-সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।