দীপক চৌধুরী: সোশ্যাল মিডিয়ায় অপছন্দের মানুষ সম্পর্কে কুৎসা রটানো হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। সরকারের ভাল কাজের বিরুদ্ধেও কুৎসা। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার সম্পর্কে কুৎসা দীর্ঘদিনের। এগুলো পরিকল্পিত। আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলের শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক কুৎসা রটানো হচ্ছে।
মহল-বিশেষের প্ররোচণায় গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবেই এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে- কিন্তু অ্যাকশন নেই। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না কেন ? সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের বাইরে থেকে যারা এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের নাকি ধরার সুযোগ নেই। অপপ্রচারকারী ও ষড়যন্ত্রকারীরা যোগ্য, মেধাবী ও ভাল মানুষের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে এ চক্রান্ত করেছে ও করে চলছে। নীলনকশা বাস্তবায়নের সক্রিয় সদস্যরা দেশের বাইরে থেকে এভাবে অপকর্ম করবে আর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর, মানহানিকর তথ্য ছাড়াও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েই যাবে? আমরা কেন এতো অসহায়?
এমনই এক প্রশ্ন রেখেছিলাম আওয়ামী লীগের এক প্রবীণ রাজনীতিবিদের কাছে। তাও বেশ আগে। জানলাম, অবশেষে দুয়েকদিন আগে একটি ভাল সিদ্ধান্ত হয়েছে এ বিষয়ে। বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের পাসপোর্ট বাতিল হতে পারে।
গত বুধবার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সেই সিদ্ধান্তই হয়েছে। চিহ্নিত কয়েকজন আছে যারা ক্রমাগতভাবে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে ওরা ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, আবুধাবী, মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশে অবস্থান করে গুজব ছড়াচ্ছে ও দেশবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এদের পাসপোর্ট বাতিল করতে হবে। কাজগুলো সংশ্লিষ্টদের জরুরি ভিত্তিতে করা দরকার।
লেখক : উপসম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক