শওগাত আলী সাগর, ফেসবুক থেকে: গনতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ কিংবা গনতন্ত্রের সংকট- এই শব্দগুলো এখন আর কেবল উন্নয়নশীল দেশের বিষয় নয়। বরং বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকদের কাছে এখন – ’গনতন্ত্রের সংকট’- এই শব্দগুচ্ছের বাইরে সম্ভবত আর কোনো প্রিয় শব্দগুচ্ছ নাই। বলাই বাহুল্য তারা নিজেদের মানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গনতন্ত্র নিয়েই কথা বলছেন।
’ভোটের অধিকার’ নিয়ে আমাদের হাহুতাশের অন্ত নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে- এই হাহুতাশটা এখন মার্কিন রাজনীতিকদের মধ্যে শুরু হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পর্যন্ত মার্কিন গনতন্ত্রের সংকট এবং ভোটের অধিকার নিয়ে সক্রিয় হবার আহ্বান জানিয়ে পত্রিকায় কলাম লিখে ফেলেছেন।
আমেরিকায় ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে কেন!- এই কৌতূহল আমার হয়েছিলো। আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যে নাকি নাগরিকদের ভোট দেয়ার অধিকারকে কঠিন করে আইন পাশ হচ্ছে। বেশ কিছু রাজ্যে পাশ হয়েছে, আরো কিছু রাজ্যে পাশ হওয়ার পথে আছে। ‘আইন করে নাগরিকদের ভোটাধিকার খর্ব!’- ইন্টারেস্টিং না ব্যাপারটা! বারাক ওবামা মার্কিন সিনেটকে সক্রিয় হওয়ার জন্য কলাম লিখে তাগিদ দিয়েছেন।
আমেরিকার নাগরিকদের ভোটাধিকার কঠিন বা খর্ব হয়- বিভিন্ন রাজ্যে এমন আইন হচ্ছে- তা নিয়ে কংগ্রেসম্যান বা সিনেট প্রতিনিধিরা যে তেমন উচ্চবাচ্চ করেছেন- তা কিন্তু শুনিনি। তারা উন্নয়নশীল বিশ্বের মানবাধিকার, ভোটের অধিকার, গনতন্ত্র নিয়ে সরব থাকলেও নিজের দেশের ব্যাপারে কতোটা সরব তা বোঝা যাচ্ছে না। যাক, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তো সক্রিয় হয়েছেন।
বারাক ওবামার লেখাটার কয়েকটা লাইন আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। সেই লাইনগুলো শেয়ার করি- Our democracy isn’t a given. It isn’t self-executing. We, as citizens, have to nurture and tend it. We have to work at it. And in that task, we have to vigilantly preserve and protect our most basic tool of self-government, which is the right to vote.
এই কথাগুলো কেবল আমেরিকানই নয়, সবদেশের নাগরিকদের জন্যই প্রযোজ্য।