শাহীন খন্দকার:[২] অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)সভাপতি মনছুর আহামেদ কালাম আরও বলেন একজন প্রবাসী শ্রমিককে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সৌদি আরব যেতে ৭৫ হাজার টাকার বেশি প্লেন ভাড়া দিতে হচ্ছে। কিন্তু ট্রাভেল এজেন্সিকে গ্রুপ ফেয়ার দিচ্ছে না বিমান। একই রুটে সৌদি এয়ারলাইন্সের একমুখী ভাড়াও ৭৪ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। আগের ভাড়া ৪০থেকে ৪৫ হাজার টাকা ছিল। হঠাৎ ভাড়াবৃদ্ধিতে প্রবাসী শ্রমিকেরা ফিরতে পারছেন না কর্মস্থলে।
[৩] মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিমানের টিকিটের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
[৪] সংগঠনের সভাপতি মনছুর আহামেদ কালাম বলেন, আগে দুবাইয়ের ভাড়া ছিল ৪০ হাজার টাকা, বর্তমানে এমিরেটসে দুবাই যেতে ৮৭ হাজার টাকা লাগে। ওমানের মাস্কাটে আগে একমুখী ভাড়া ছিল ৩৫ হাজার টাকা, বর্তমানে সব এয়ারলাইন্স ৭২ হাজার টাকা নিচ্ছে। সৌদির ভাড়া নভেম্বরে ছিল ৪২ হাজার। বর্তমানে ৭৪ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা। এ অবস্থায় অতিরিক্ত ভাড়া বহন করা ও যথাসময়ে কর্মস্থলে যাওয়া অভিবাসীদের জন্য প্রায় অসম্ভব ও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[৪] তিনি আরও বলেন, টিকিটমূল্য বৃদ্ধিসহ আসনের সংকট থাকায় প্রতিদিন যাচ্ছে মাত্র তিন হাজার জন। এ সংকট সমাধানে চারটি প্রস্তাব দিয়েছে আটাব। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধিসহ এয়ারলাইন্সগুলোর অতিরিক্ত স্লটের অনুমোদন, প্রবাসী কর্মীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ভাড়া ঘোষণা করা, এয়ারলাইন্সগুলোর অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধে রেগুলেটরি বোর্ড গঠন করা। দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।