শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২২% বৃদ্ধি, চীনের হারানো অর্ডার এলো দেশে ◈ বিরল দৃশ্যের অবতারণা, কাবা ঘরের ওপর নেমে এলো চাঁদ ◈ ফজলুর রহমানকে গালি দিয়ে স্লোগান দেওয়া সেই ফারজানা ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার (ভিডিও) ◈ মাহফুজ আলমের ওপর হামলা চেষ্টা, লন্ডন পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের ◈ সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই ◈ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য চীনের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে যে নতুন নির্দেশনা ◈ জনগণ রায় দিলে ৫ বছরেই দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব: জামায়াত আমীর ◈ সহকারী শিক্ষকদের জন্য নতুন নির্দেশনা, সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে যেসব তথ্য ◈ রাতে ঢাকাবাসীর জন্য দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ ডাকসুর পর জাকসুতেও শিবিরের জয়জয়কার

প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর, ২০২১, ০২:০৯ রাত
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর, ২০২১, ০৫:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জন্মহারে নিম্নমুখীতা: ইতালির অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়োজন বিদেশিদের!

অনলাইন ডেস্ক: ইতালিতে প্রতিনিয়ত কমছে শিশু জন্ম হার, সেই সঙ্গে দেশটিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা। দেশটির অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়োজন বিদেশিদের বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া।

ইতালি গত তিন দশক ধরে ইউরোপের সর্বনিম্ন জন্মহারের একটি দেশে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে দেশটির ২৩ দশমিক ২ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বছরের অধিক। সেই হিসেবে ২০৫০ সালে তা ৩৫ শতাংশে উন্নীত হবে। এতে সঙ্কিত দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো ইস্তাত এবং নীতিনির্ধারণী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০৭০ সালে ইতালির জনসংখ্যা বর্তমানে ৫ কোটি ৯৬ লাখ থেকে কমে, ৪ কোটি ৭৬ লাখ এসে দাঁড়াবে। অধিক অভিবাসন গ্রহণের প্রতি মতামত দেয় দেশটির ইস্তাত বা পরিসংখ্যান ব্যুরো। এতে আগামী দিনে দেশটিতে প্রবেশে আরও বেশি সুযোগ পাবেন বাংলাদেশসহ অনেকগুলো জনবহুল দেশের নাগরিকরা।

প্রাচীন সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের শিল্প সম্মৃদ্ধ দেশ ইতালি। দেশটি এক সময় অধিক জনসংখ্যার জন্য খ্যাতি ছিল। ইতালির অনেক জনগোষ্ঠী পৃথিবীর অনেক দেশে বসবাস করছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে, উওর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ ইতালীয় বংশোদ্ভূত। তবে বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ক্রমশ কমতির দিকে। গত শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বা ইস্তাতের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৯৬ লাখ। এখানে ৬৫ বছরের অধিক বয়স্কদের সংখ্যা বর্তমানে ২৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০৫০ সাল নাগাদ ৩৫ শতাংশে পৌঁছাবে। সেই সঙ্গে ইতালি জুড়ে ২০০৭ সাল থেকে দেশটির শিশু জন্ম হার মৃত্যু হারের তুলনায় অনেক কম। এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০৭০ সালে ইতালির জনসংখ্যা ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়াবে ৪ কোটি ৭৬ লাখে। ইতালিতে জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়ার মূল কারণ হিসেবে দেখানো হয়, দেরিতে বিয়ে ও দেরিতে সন্তান ধারণকে। অধিক বয়সে বিয়ের জন্য শিশু জন্ম হার অনেক কম বলে জানায় দেশটির গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সচেতন মহল।

জনসংখ্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিবছর ২ লাখ ৮০ হাজার নতুন অভিবাসী ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে বলে জানান দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বা ইস্তাত। সেই সঙ্গে নতুন শিশু জন্ম হার বৃদ্ধির লক্ষে, সরকারের প্রতি কম বয়সী মা বাবার অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে মত দেয় সংস্থাটি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে ইতালির জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে রাখতে, বিদেশ থেকে অভিবাসী গ্রহণে সুযোগ সৃষ্টি হলে উপকৃত হবে বাংলাদেশ থেকে ইতালি গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুশী হবেন বেশি। কারণ ইতালির পথে যাত্রায় বাংলাদেশিরা খুব আগ্রহী।

ইতালির জনসংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাওয়া থেকে রক্ষা করতে সরকার ইতোমধ্যে গর্ভাবস্থার সপ্তম মাস থেকে শিশুর ২১ বছর পর্যন্ত মাসিক আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। তারপরও শিশু জন্মের হার বৃদ্ধির লক্ষণ নেই বলে জানান দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। এতে অধিক অভিবাসন গ্রহণের পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে সরকার বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

যদিও ইতালির বর্তমান বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বিদেশি শ্রমিকের প্রবেশের বিরুদ্ধে। তবে দিন শেষে পরিস্থিতি ও পরিসংখ্যানে চোখ বুলিয়ে নিলে বুঝতে করো বাকি থাকছে না যে ইতালির অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়োজন অধিক শিশুর জন্মগ্রহণ, অথবা প্রতিবছর কমপক্ষে ২ লাখ ৮০ হাজার বিদেশি অভিবাসীকে দেশটিতে প্রবেশে অনুমোদন নিশ্চিত করা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়