চিররঞ্জন সরকার
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য অর্জন কোনো অসম্ভব ব্যাপার নয়। উচ্চমানের ও প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ ঘরোয়া ক্রিকেট, তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটার তুলে আনার জন্য দক্ষ ও আন্তরিক ক্রীড়া সংগঠন ও সংগঠক তৈরি, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে অনুশীলন ও খেলা আয়োজন করার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোসমৃদ্ধ স্টেডিয়াম তৈরি এবং অবশ্যই আন্তর্জাতিকমানের উইকেট তৈরি করতে হবে। শুধু জাতীয় দলের খেলোয়াড় নয়, সম্ভাবনাময় সব খেলোয়াড়কেই প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ বিভাগ ক্রিকেট লিগ চালু করতে হবে। জেলায় জেলায় একাডেমি বানাতে হবে। নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। পক্ষপাতহীনভাবে খেলোয়াড় নির্বাচন করতে হবে। এর কোনোটিই আমাদের দেশের ধনী ক্রিকেট বোর্ডের আয়ত্তের বাইরে নয়।
ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী সময়ে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না করার মানসিকতা যে দীর্ঘ মেয়াদে কোনো দলকে কী পরিমাণ সাফল্য এনে দিতে পারে, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ঠিক আগের বিশ্বকাপে গ্রæপ পর্ব থেকে বাড়ি ফেরার পরও ২০১১ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারত ও ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়। কিন্তু একের পর এক ব্যর্থতার চোরাবালিতে ডুবে যেতে থাকার পরও এ দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কারও পক্ষে কি সেই ‘প্রকৃত শিক্ষা’ নেওয়া সম্ভব হবে? যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে জাতীয় ক্রিকেট দলের কাছ থেকে একরাশ হতাশা ছাড়া আর কিছুই মিলবে না। ফেসবুক থেকে