শাহীন খন্দকার: [২] রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন আরও বলেছেন, ঢালাওভাবে এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। যারা একদম টিকা পায়নি তাদের এই মুহূর্তে টিকার আওতায় আনা জরুরি। নির্দিষ্ট সবাইকে টিকা দেওয়ার পর আরও উন্নত সংস্করণের টিকা আসবে, তখন বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে।
[৩] তিনি বলেন, আমরা দেখি যে অনেকেরই কোমরবিডিটি কন্ডিশন থাকে, এছাড়া বয়স্কদের ক্ষেত্রে যাদের চিকিৎসকের বুস্টার ডোজের ব্যাপারে সুপারিশ থাকে, তাদেরকে দেওয়া যেতে পারে। কোনো একজন লোকের দেখা গেল যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কমে গেছে, এক কথায় তার ক্লিনিক্যাল কন্ডিশনের কারণে যদি বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হয়, শুধু তাকেই দেওয়া যেতে পারে। কারণ করোনায় তাদের মৃত্যুহার অনেক বেশি।
[৪] জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, বুস্টার ডোজের ব্যাপারে এখন যেসব কথাবার্তা আসছে এবং যেসব দেশ শুরু করেছে, তারা শুধু বয়স্ক ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদের বিষয়ে বলছে। সুতরাং আমাদের দেশেও বয়স্ক-রোগাক্রান্তদের বিষয়ে ভাবা যেতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুধু বয়স্কদের দিতে বলেছে, আমেরিকার কিছু জায়গায় বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :