রিয়াজুর রহমান: [২] বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
[৩] জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানি করা মালামালের শুল্ক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন খোদ কাস্টম হাউসের এ দুই কর্মকর্তা। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করেন সিএন্ডএফ এজেন্সি।
[৪] এমন জালিয়াতির মাধ্যমে রাজস্বের ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এ মামলা করেন দুদক।
[৫] মামলার আসামির হলেন- চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মাহমুদ খান, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। এছাড়াও মামলার আসামি করা হয়েছে নেপচুন ট্রেডিং এজেন্সির মালিক ইকবাল হোসেন মজুমদার ও বনলতা শিপিং এজেন্সির মালিক আব্দুল মান্নান চৌধুরী। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
[৬] মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে এই ঘটনা ঘটে।
[৭] এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতির জন্য জাল কাগজপত্র তৈরি ও ব্যবহার করেন। নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ও অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারি ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ করার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হলো।