অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন
আইআইটি খড়গপুরের শিক্ষার্থীদের খাবারের ট্রের ছবি দিলাম। পাশেই বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবারের ট্রের ছবি দিলাম। খাবারের মেনু, খাবারের পরিমাণ, কোনটা কতোটা ব্যালান্সড ডায়েট, ট্রের মান এবং কোন ট্রে কতোটা পরিষ্কার একটু দেখুন। ৩০ বছর আগে আমি যখন ছাত্র ছিলাম আজ ৩০ বছর পরও খাবারের মান একই। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গায় কতো পানি গড়িয়ে নর্দমায় পরিণত হয়েছে কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের মানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৩০ বছর আগের থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। এটা বাংলাদেশে বড় বড় মেগা প্রজেক্ট, বছরান্তে প্রজেক্টের ব্যয় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়া আর সেখান থেকে চুরিচামারি দেখলে বোঝা যায়।
অথচ আগামীর বাংলাদেশ যাদের হাতে যাবে তাদের খাবারের মানের কোনো উন্নতি হলো না। আমাদের উচিত ধনী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন বেশি নেওয়া গরিব শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেওয়া। সরকারের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দ অনেক বাড়ানো। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় না বানিয়ে যেগুলো আছে সেগুলোর মান বাড়ানোর কাজে মনোযোগী হওয়া। সরকার যদি শিক্ষার মান বাড়াতে চাইতো তাহলে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াতো। ৩০ বছর আগেও জিডিপির ২ শতাংশ থেকে ২.২ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দ দিতো। আজ ৩০ বছর পরেও শিক্ষায় জিডিপির ২ শতাংশ থেকে ২.২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। থচ আমরা নাকি সিঙ্গাপুর কানাডাকে ছুঁই ছুঁই করছি। অথচ ইউনেস্কো বলে শিক্ষায় ন্যূনতম জিডিপির ৫.৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া উচিত। লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশশ্ববিদ্যালয়
আপনার মতামত লিখুন :