ডেস্ক রিপোর্ট: পাবনার বেড়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ছেলেকে বিজয়ী করতে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ মাথায় নিয়ে এলাকা ছেড়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শামসুল হক টুকু । এনবি নিউজ বাংলা২৪
কাজীরহাট-আরিচা রুটে ফেরি পার হয়ে সোমবার বিকেলে ঢাকায় যান তিনি। তবে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঢাকায় যাওয়ার আগে তিনি ছেলেকে বিজয়ী করতে বেড়া উপজেলার মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এমপি টুকুর ছোট ভাই আব্দুল বাতেন। তার অভিযোগ, পৌর নির্বাচনে তার বড় ভাই নিজের ছেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসিফ শামস রঞ্জনকে জেতাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এলাকায় প্রচারে অংশ নিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি প্রশাসনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। এসব কারণে গত ১৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন তাকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ জানালেও তিনি তোয়াক্কা করেননি। উল্টো ভোটারদের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের নৌকার ভোট না করলে পিষে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সোমবার এমপি টুকুর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে এদিন বিকেলে এলাকা ছেড়ে যান তিনি। কিন্তু যাবার আগেও বৃশালিখা মহল্লার নিজ বাড়িতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইমাম মুয়াজ্জিনদের ডেকে পৌর নির্বাচনে ছেলের পক্ষে সমর্থন ও দোয়া চান।
‘আমার ধারণা ২৫ তারিখ হাইকোর্টে রিট শুনানির পর তিনি আবার এলাকায় ফিরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন। আশা করছি, নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেবে।’
এমপি টুকুর আহ্বানে বেড়া উপজেলার ১২০ জন ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসা শিক্ষক সোমবার দুপুরে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন পাবনার উপপরিচালক ইমামুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এমপি টুকু ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইমাম মুয়াজ্জিনদের তার বাড়িতে দাওয়াত করলে, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দোয়া মাহফিলে শরিক হয়েছি। তবে, এটি সম্পূর্ণ অনানুষ্ঠানিক সভা, নির্বাচনি বৈঠক নয়। নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে এমপিপুত্র আসিফ শামস সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে টুকুপুত্র ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আসিফ শামস রঞ্জনের ফোনে বার বার ফোন করেও সাড়া মেলেনি। তবে এমপি টুকু বলেন, ‘সোমবার আমি সংসদীয় কার্যক্রমে অংশ নিয়েছি। মঙ্গলবার সারাদিনেও সংসদে ব্যস্ত সময় কাটেছে। বেড়া পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে আমি ফোনে কোনো মন্তব্যই করব না।’