ডেস্ক রিপোর্ট: ধামরাইয়ে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে মারধরের অভিযোগে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে আদালতে পাঠিয়েছেন পুলিশ। জাগোনিউজ২৪
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের পূর্বসূত্রাপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককরা হলেন- বালিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান (৪৫), সিয়াম (২০), আব্দুল মজিদ (৭০), সামছুল হক (৪৫), মজিবর (৭০), রাজন (৩৫), শামীম (২৫), নাছিমা আক্তার (৩২) ও রাশেদা বেগম (২৭) ও এক কিশোর।
ধামরাইয়ে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এক যুবককে চৌরাস্তার মোড়ে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেছে বালিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় নির্যাতিত যুবককের লোকজনদের ওপর আরও হামলা করতে ওই চেয়ারম্যানের সমর্থকরা এলাকায় মাইকিং করে। পরে দু-পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন কমপক্ষে ১১ জন। রাতেই চেয়ারম্যানসহ ২২ জনের নামে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত যুবককের ভাই আলআমিন। মানব জমিন
ভুক্তভোগী যুবকের ভাই রবিউল আউয়াল বলেন, আমার ভাই ইসরাফিল একজন ইট ব্যবসায়ী। ইউপি নির্বাচনে সে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুজিবর রহমানের প্রতিপক্ষকে সমর্থন করেছিল। এছাড়া এর আগেও মুজিবরের সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে তার বিরোধ ছিলো। এরই জেরে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চেয়ারম্যান মুজিবর তার লোকজন পাঠিয়ে ইসরাফিলকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সূত্রাপুর বাজারে হাত-পা বেঁধে লাঠি ও রড দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে পুলিশ চেয়ারম্যানসহ তার লোকজনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ওই এলাকায় ঝামেলা হলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাগোনিউজ২৪
ধামরাই থানা অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমানকে ১নং আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা আসামিদের আদালতে পাঠিয়েছি। আর এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। ইনকিলাব