সুজন কৈরী: [২] কারা এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করে, তাদের সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য সংগ্রহ করার আহ্বান জানিয়ে অধস্তনদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা চাকরি করি মানুষের নিরাপত্তার জন্য, শান্তির জন্য।
[৩] তিনি বলেন, শীতকাল তথা ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় টানা পার্টির দৌরাত্ম্য, এজন্য আমাদেরকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।
[৪] রোববার সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
[৫] কমিশনার বলেন, দেশে করোনার শুরুতেই আমরা ফ্রন্টফাইটার হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, আমরা যেভাবে পেরেছি সাধ্য মতো এদেশের মানুষের সেবা করেছি। মিডিয়াতে তা ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় পুলিশ সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
[৬] তিনি বলেন, শনিবার করোনায় কেউ মারা যায়নি। এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনও কারণ নেই। কেননা ইতোমধ্যে উন্নত দেশে আবারও করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এজন্য আমাদের সকলকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
[৭] মুজিব শতবর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাস, আমাদের বিজয়ের মাস। এই মাসেই উদযাপিত হবে মুজিব শতবর্ষ। এজন্য ডিএমপির কোথাও যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সকল ডিসি ও ওসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। ‘টিম ডিএমপি অপরাজেয়’ এ বিশ্বাস যেন সকলের থাকে।
[৮] এর আগে অক্টোবর মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
[৯] এ সময় ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, ডিএমপির সকল যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সকল থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।